জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাঁর মাথার দাম ধার্য হয়েছিল। সরাসরি খুনের হুমকি ছিল। ভয়ে কুঁকড়ে যাননি। তাঁর সঙ্গে বছরের পর বছর যা হয়েছে, তাতে ১০০ জনের মধ্যে নিরানব্বই জনই গুটিয়ে যান। কিন্তু তিনি যে অন্য ধাতুতে গড়া তা বোঝা গিয়েছে তখনই। আরও বোঝা গেল সম্প্রতি। অডিটোরিয়ামের দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন তিনি। হঠাৎই এক আততায়ী এসে ছুরি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল তাঁর উপর। রক্তারক্তি কাণ্ড, প্রাণ সংশয় ঘটার মতোই আক্রমণ। কিন্তু এ-যাত্রাও তিনি বাঁচলেন। অদম্য তাঁর শক্তি, দুর্দমনীয় তাঁর সৃষ্টিশীলতাও। এত কিছুর মধ্যেও নিরন্তর চালিয়ে গিয়েছেন সাহিত্যরচনা। তিনি সলমন রুশদি। সম্প্রতি পেলেন জার্মান প্রাইজ। সারা জীবনের সাহিত্যকৃতির জন্য ‘দ্য পিস প্রাইজ অফ দ্য জার্মান বুক ট্রেডে’ সম্মানিত হলেন রুশদি। আগামী ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন তিনি।
কেন এই পুরস্কার দেওয়া হল রুশদিকে?
জুরিরা লিখেছেন– রুশদির ন্যারেটিভে মিলেমিশে থেকেছে সদাজাগরিত সাহিত্যগত উদ্ভাবন, হাস্যরস এবং উইসডম। তাঁর লেখায় যেমন সমাজকে তছনছ করে দেওয়ার বর্ণনা মেলে তেমনই মেলে ব্যক্তির অসম্ভব আত্মশক্তির বিবরণ।
গত অগাস্টে নিউ ইয়র্কে রুশদিকে ছুরি হাতে আক্রমণ করেছিল এক আততায়ী। ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ রচনার জন্য ইরানের আয়াতোল্লা খোমেইনির কোপে পড়েন তিনি। প্রফেট মুহাম্মদকে অবমাননার অপরাধে রুশদির নামে ফতোয়া জারি হয় সেই ১৯৮৮ সালেই।
(Feed Source: zeenews.com)