আইনস্টাইনের ইউনিভার্সিটিতে বাঁকুড়ার মেয়ের! ফাঁস করলেন তাঁর সাফল্যের রহস্য

আইনস্টাইনের ইউনিভার্সিটিতে বাঁকুড়ার মেয়ের! ফাঁস করলেন তাঁর সাফল্যের রহস্য

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার অঙ্কুর অ্যাকাডেমিতে নোবেল লরিয়েট খচিত স্বনামধন্য জুরিখে বায়ো-টেকনোলজি নিয়ে পিএইচডি করছেন বাঁকুড়ার কন্যা মধুরিমা চৌধুরী। কচিকাঁচারদের হাতে তুলে তিনি দিলেন স্বয়ংক্রিয় বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্বন্ধিত একটি বিশেষ ম্যাগাজিন।

বাঁকুড়ায় পড়াশোনা করে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ পর্যন্ত, এই অনুপ্রেরণাদায়ক অ্যাকাডেমিক অভিযান কী ভাবে সম্ভব হয়েছে?  ঠিক কোন তিনটি জিনিস ছাত্র-ছাত্রীদের পালন করা উচিত সেটাই জানালেন মধুরিমা চৌধুরী। স্বল্প কয়েক দিনের ছুটিতে বাঁকুড়া এসেছেন মধুরিমা। আর তখনই বাঁকুড়ার অঙ্কুর অ্যাকাডেমীর প্রাঙ্গণে তাঁকে দেখা গেল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর বই হাতে নিয়ে।

বাঁকুড়ার একটি মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে মধুরিমা। প্রাথমিক শিক্ষা বাঁকুড়া ডিএভি মডেল স্কুল থেকে এবং দুর্গাপুর এন আই টির পর তিনি পাড়ি দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের জুড়িখে। জুরিখ ইউনিভার্সিটি থেকে বায়ো-টেকনোলজি নিয়ে পিএইচডি করছেন মধুরিমা। আমেরিকাতে পিএইচডি করার ইচ্ছে ছিল মধুরিমার কিন্তু আমেরিকাতে পিএইচডি করতে দুই বছরে প্রায় খরচ হয় ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা।

মধুরিমার পক্ষে সেই খরচ বহন করা সম্ভব ছিল না। তারপর গেট পরীক্ষা এবং গেট পরীক্ষা দেয়ার পর মধুরিমার কাছে সুযোগ চলে আসে, জুরিখ ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করার। বর্তমানে নিজের মেধার উপর ভর করে পড়াশোনা করছেন মধুরিমা সঙ্গে স্টাইপেনও পাচ্ছেন তিনি।

বাঁকুড়া তথা গোটা পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে মধুরিমা জানান যে অধ্যাবসায়, নিয়মানুবর্তিতা এবং ধৈর্য ছাত্র জীবনে এনে দিতে পারে সফলতা।

(Feed Source: news18.com)