শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার, কাস্টডিতে বেধড়ক মার, অপমানে যুবকের আত্মহত্য়া

শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার, কাস্টডিতে বেধড়ক মার, অপমানে যুবকের আত্মহত্য়া

জয়ন্ত পাল ও ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার। থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মার। অপমানে ২৪ বছর বয়সী যুবকের আত্মহত্য়ার অভিযোগ। বাগুইআটি থানা (Baguihati Police Station) এলাকার এই ঘটনায়, পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে মৃতের পরিবার। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।

প্রথমে মিথ্য়া শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগে গ্রেফতার। তারপর থানায় নিয়ে গিয়ে মারাত্মক মার। তার জেরেই অপমানে যুবকের আত্মহত্য়ার (Suicide) অভিযোগ। বাগুইআটি থানা এলাকায় ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে মৃতের পরিবার। মৃত যুবক ঋত্বিক গুপ্ত। বাড়ি বাগুইআটি এলাকায়। একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

পরিবার সূত্রে খবর, ৬ মাস আগে বাগুইআটিতে একটি শ্লীলতাহানির ঘটনায় এই বাইকের নম্বর ধরে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বাইকটি ঋত্বিক গুপ্তর বাবার। পরিবারের দাবি গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময়, বাগুইআটি জাগৃতি সঙ্ঘ এলাকায় বাইক সহ ঋত্বিককে পাকড়াও করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। সেই রাতটা বাগুইআটি থানাতেই কাটে ঋত্বিকের। পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার বারাসাত আদালতে (Barasat Court) তোলা হলে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান যুবক।

পরিবারের দাবি, বাড়ি ফেরার পর থেকেই গুম মেরে গিয়েছিল তরতাজা ছেলেটা। ঋত্বিক জানিয়েছিল, বাগুইআটি থানায় মারাত্মক মারা হয় তাঁকে। পায়ে কালশিটে দাগের ছবিও দেখিয়েছে পরিবার। শুধু তাই নয়, ঋত্বিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা তাঁর কর্মক্ষেত্র অর্থাৎ সেই বেসরকারি হাসপাতালেও জানানো হয় বলে অভিযোগ। এরপরই, রাত ১২টা নাগাদ, ঘরে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

পরিবারের দাবি, অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে যুবক। মৃত যুবকের ভাই আকাশ গুপ্ত বলেছেন, পুলিশ ওকে এত মেরেছে যে পুরো লাল দাগ ছিল। আইসি এসেছিল। আমরা বলেছি সিসিটিভি ক্য়ামেরা দেখাতে। ফুটেজটা দেখাচ্ছে না কেন ? কার্যত ভেঙে পড়া মৃতের বাবা বলেছেন, পুলিশকে এভাবে মারার অধিকার কে দিয়েছে ? ছেলের মৃত্যুর প্রতিবাদ চাই। ন্যায়বিচার চাই। সকালে বাগুইআটি থানার পুলিশ যুবকের বাড়িতে গেলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবার।

মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য় নীলরতন সরকার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।

(Feed Source: abplive.com)