শিয়রে শনি, তাই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার ইডির নোটিশ পাওয়ার পর থেকেই গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন সায়নী। শুক্রবার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেও তার পর থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভরা প্রচারের মরশুমে আর মাঠে ময়দানে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। শনিবারের পর রবিবারও তৃণমূলের প্রচারকদের তালিকায় নেয় সায়নীর নাম। তার ওপরে বুধবার ফের তাঁকে তলব করেছে ইডি। যাতে প্রশ্ন উঠছে, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে কি আর দেখা যাবে সায়নীকে?

শুক্রবার ইডি দফতরে জেরা সামলে বেরিয়ে নিজেকে প্রত্যয়ী দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন সায়নী। শনিবার সকালে জানিয়েছিলেন, দল তাঁর পাশে রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব প্রচারে ফিরবেন তিনি। কিন্তু ইডির জেরার পর ২৪ ঘণ্টা কাটলেও সায়নী গৃহবন্দি। তাঁকে দেখা যাচ্ছে না দলের প্রচারে। রবিবারও দলের প্রচারে থাকা নেতাদের তালিকায় নাম নেই সায়নীর। যাতে প্রশ্ন উঠছে, সায়নীর মুখের প্রত্যয় কেন কাজে প্রতিফলিত হচ্ছে না? না কি ভিতরে ভিতরে আতঙ্কে ভুগছেন তিনি?

আগমী শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তার আগে ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার শেষ হবে ভোটপ্রচার। ওদিকে সায়নীকে ইডি তলব করেছে ৫ জুলাই। ফলে হাতে রয়েছে আর ২টো দিন, সোম ও মঙ্গলবার। প্রশ্ন উঠছে, এই ২ দিন কি দলের প্রচারে থাকবেন সায়নী।

শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সায়নী বলেন, আমি দলের যুব নেত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে আমি যাব না? দল আমার সঙ্গে আছে। প্রচারের ব্যবস্থা করতে কিছু সময় লাগে। আর অনেকেই ডাকছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব কিছু চূড়ান্ত হবে।

তবে শনিবার সায়নীর এই মন্তব্যের পর তাঁর ওপর চাপ বেড়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে সায়নীর ২টি ফ্ল্যাট কেনার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন গোয়েন্দারা। গল্ফ গ্রিন এলাকায় ২টি ফ্ল্যাটের একটির দাম ৮০ লক্ষ টাকা। অন্যটির দাম ৩৫ লক্ষ। সেটি রয়েছে সায়নীর মায়ের নামে। দুটি ফ্ল্যাটই কেনা হয়েছে ২০২০ – ২১ সালে সায়নী তৃণমূলে যোগদানের পর। জিজ্ঞাসাবাদে সায়নী জানিয়েছেন, ৮০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাটটি কেনার জন্য ৬০ লক্ষ ঋণ নিয়েছেন তিনি। বাকি টাকা তিনি নিজের সঞ্চয় থেকে জোগাড় করেছেন। কিন্তু সায়নীর কথা বিশ্বাস হচ্ছে না গোয়েন্দাদের। সায়নীকে নথি পেশ করতে বলেছেন তাঁরা। এমনকী ৮০ লক্ষ টাকা ঋণের কিস্তি কে দেয় তাও প্রমাণ করতে বলেছেন সায়নীকে। ফলে সায়নী কবে ফের রাজনীতির বৃৃৃৃৃত্তে ফিরবেন তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে তৃণমূলের অন্দরেই।

(Feed Source: hindustantimes.com)