লর্ডস: এজবাস্টনের পর এবার লর্ডস। অ্যাশেজে দ্বিতীয় টেস্টেও দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া। ইংল্য়ান্ডকে তাদের ঘরের মাঠে পরপর ২ ম্যাচে হারাল প্যাট কামিন্সের দল। দ্বিতীয় টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ৩৭১ রান তা়ড়া করতে নেমে ৩২৭ রানে শেষ হয়ে গেল ইংল্য়ান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। ১৫৫ রানের দুরন্ত সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারলেন না বেন স্টোকস। ৪৩ রানে ম্যাচ জিতে গেল ব্য়াগি গ্রিনরা।
পঞ্চম দিনে শুরুতে ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিজে ছিলেন বেন ডাকেট ও অধিনায়ক বেন স্টোকস। ডাকেট প্রথম ইনিংসে ৯৮ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। এদিন ভাল শুরু করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান পূরণের পর মনে হচ্ছিল যে লর্ডসে সেঞ্চুরি এবার আসতে চলেছে বাঁহাতি ইংরেজ ওপেনারের ব্যাট থেকে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৩ রানের মাথায় ফের আউট হয়ে গেলেন। হ্যাজেলউডের বলে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। জনি বেয়ারস্টো নেমেছিলেন এরপর। কিন্তু তিনি বিতর্কিত আউটের শিকার হয়ে ফেরেন মাত্র ১০ রান করে। ক্যামেরন গ্রিনের একটি বাউন্সার থেকে মাথা বাঁচিয়ে নেওয়ার পর ক্রিজে ব্যাট না ঠেকিয়েই সোজাসুজি বেরিয়ে যান ক্রিজে থেকে। ঠিক তখনই অজি উইকেট কিপার অ্যালেক্স ক্যারি পেছন থেকে বল ছুড়ে উইকেট ভেঙে দেন।
এরপরই স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে বেন স্টোকস একেবারের টি-টোয়েন্টির গতিতে রান তোলার শুরু করেন। মারমুখি মেজাজে চার-ছক্কার বন্যা শুরু করেন লর্ডসে। এভাবেই ২০১৯ সালে হেডিংলে টেস্টে জ্য়াক লিচকে নিয়ে জয় এনে দিয়েছিলেন মারমুখি ব্যাটিং করে। এদিনও প্রায় কাছাকাছি চলেই এসেছিলেন। ১৫৫ রানের ইনিংস ৯টি বাউন্ডারি ও ৯টি ছক্কা হাঁকান স্টোকস। ব্রডকে নিয়ে একশো রানের ওপরে পার্টনারশিপও গড়ে তোলেন। কিন্তু হ্যাজেলউডের বলে তিনি ক্যাচ আউট হয়ে ফিরতেই ইংল্যান্ডের সব আশা শেষ হয়ে যায়। লোয়ার অর্ডারের পক্ষে স্টার্ক, কামিন্সদের মোকাবিলা করে জয় এনে দেওয়া সম্ভাব ছিল না। তবুও শেষ দিকে জশ টাং ১৯ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা কখনওই যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৩২৭ রানে শেষ হয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস। টাংকে বোল্ড করে দেন স্টার্ক। তিন অজি পেসারই তিনটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরে নেন। হেডিংলেতে আগামী ৬ জুলাই থেকে শুরু সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।
(Feed Source: abplive.com)