সুগার-ফ্রি মিষ্টি খাচ্ছেন দেদার! ভাবছেন কোনও ক্ষতি হচ্ছে না! ভয়ানক ভুল করছেন

সুগার-ফ্রি মিষ্টি খাচ্ছেন দেদার! ভাবছেন কোনও ক্ষতি হচ্ছে না! ভয়ানক ভুল করছেন

কলকাতা: আবার নতুন বিপদ। এক ভয়ানক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল সামনে এসেছে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ শরীরে ক্যালোরি বেশি যাতে না যায়, তার জন্য কৃত্রিম মিষ্টির ওপর নির্ভরশীল।

যাঁরা মধুমেহ রোগে ভুগছেন, তাঁরা চিনির মিষ্টি ত্যাগ করেছেন বহু আগেই।তার বদলে তাঁরা কৃত্রিম মিষ্টি খাচ্ছেন। কিন্তু গবেষণা বলছে, কৃত্রিম মিষ্টি খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।

কৃত্রিম মিষ্টির ( Aspartame) ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ডায়েট পানীয় কিম্বা সুগার ফ্রি মিষ্টি বা সুগার ফ্রি ট্যাবলেট। কখনও চকোলেট কিংবা চুইংগাম হিসেবে আমরা ব্যবহার করি।

এগুলি কৃত্রিম মিষ্টি (Aspartame)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO এর একটি গবেষণা উইং I ARC গবেষণা করে দেখেছে, Aspartame এর মধ্যে কারসিনোজেনিক (Carcinogenic) উপাদান রয়েছে। যা মানব দেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে সক্ষম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চলতি বছরের জুলাই মাসের ১৪ তারিখ এই বিষয়ে বহু দেশকে সতর্ক বাণী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রত্যেকটি দেশ এই বিধিনিষেধ কবে থেকে মানা শুরু করবে, সেটা নিয়েও কিন্তু যথেষ্ট জল ঘোলা হতে পারে।

কৃত্রিম মিষ্টি যারা বানান, তারা অনেক বড় বড় প্রস্তুতকারক সংস্থা। ১৯৮১ সালে JECFA জানিয়েছিল ,Aspartme প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় খাওয়ায় কোনও ক্ষতি হবে না মানব শরীরে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বলা ছিল, মাত্রাতিরিক্ত Aspartame খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়।

মানুষ বহু মাত্রায় ডায়েট পানীয় সেবন করছে। আমাদের দেশে এই Aspartame প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার হয়। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ প্রশান্ত বিশ্বাস বলেছেন, ‘ যেহেতু গবেষণায় কারসিনোজেনিক বিষয়টি উঠে এসেছে, সেহেতু এখন থেকেই আমাদের সবাইকে সাবধান হতে হবে। Aspertame এর পরিবর্তে মিষ্টি খুব খেতে ইচ্ছা হলে, একটু ক্যালোরি হিসাব করে মিষ্টি খাওয়া যেতেই পারে। শরীরে ক্যালোরি নেওয়ার  দিকে লক্ষ্য করে কৃত্রিম মিষ্টি না খাওয়াই ভাল।’

(Feed Source: news18.com)