ED-র পর এবার CBI নজরে সায়নী ঘোষ ! নজরে কুন্তল – সায়নী যোগ

ED-র পর এবার CBI নজরে সায়নী ঘোষ ! নজরে কুন্তল – সায়নী যোগ

প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : ইডি-র ( ED ) পর এবার সিবিআই-এর নজরে সায়নী ঘোষ ( Saayoni Ghosh )। সিবিআই (CBI )-এর নজরে এবার কুন্তল ( Kuntal Ghosh ) -সায়নী যোগ। ইতিমধ্যেই যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে ED-র ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। শুক্রবার, প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রীকে। সূত্রের দাবি, ৫ জুলাই ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। কিন্তু তার আগেই সিবিআইয়ের রাডারে যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী।

‘কুন্তল ঘোষের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার নেপথ্যে কি সায়নী ?’

সায়নী যুব তৃণমূলের সভাপতি হওয়ার পরেই সাধারণ সম্পাদক হন কুন্তল ঘোষ। ‘কুন্তল ঘোষের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার নেপথ্যে কি সায়নী ?’ ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের সময় সায়নীকে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বলে সূত্রের খবর। ‘কুন্তলকে সাধারণ সম্পাদক করা একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত’, বলে দাবি করেছিলেন  সায়নী। কুন্তলকে সাধারণ সম্পাদক করার পিছনে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

সায়নী ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কুন্তল ঘোষকে চেনেন? উত্তরে সায়নী বলেন, হ্যাঁ, চিনি। তবে, তেমন কোনও পরিচয় ছিল না। জেলায় কাজ করত। আমি জেলায় গেলে দেখা হত। কুন্তল নিজেকে সোশাল ওয়ার্কার বলে পরিচয় দিত। আমাকে বলেছিল, একটা কলেজ আছে।  এরপর জানতে চাওয়া হয়, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে কোনও দিন কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল? সায়নী বলেন, না কোনও দিন কুন্তলের থেকে কোনও টাকা নেইনি। ফ্ল্যাটের বুকিংয়ের টাকা নিজের সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং পরিবারের থেকে দিয়েছিলাম।

তাপস মণ্ডলের বয়ানে প্রথম উঠে এসেছিল সায়নী ঘোষের নাম। সম্প্রতি তাপস মণ্ডলকেও এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর সিবিআই সূত্রে।

ED-সূত্রে দাবি,  তাদের স্ক্যানারে রয়েছে সায়নী ঘোষের গল্ফগ্রিনের ২টো ফ্ল্যাট। ২টো ফ্ল্যাটই ২০২০-২১ সালে কেনা হয়েছে।একটি ফ্ল্যাটের দাম ৩৫ লক্ষ টাকা। এই ফ্ল্যাটটি সায়নীর মায়ের নামে কেনা। অপর ফ্ল্যাটটির দাম ৮০ লক্ষ টাকা। এই ফ্ল্যাটটি কেনা হয় সায়নীর নামে। এছাড়াও, পৈত্রিক সূত্রে একটি বাড়ি রয়েছে সায়নীর। ED-সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ফ্ল্যাট নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সায়নী ঘোষকে। জানতে চাওয়া হয়, ফ্ল্যাট কেনার টাকার উৎস্য কী? সূত্রের দাবি, যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি।

সূত্রের দাবি,  ED-র তদন্তকারী জানতে চান লোন সংক্রান্ত নথি কোথায়? উত্তরে সায়নী ঘোষ বলেন, এই মুহুর্তে সঙ্গে নেই। তখন ED-র তরফে বলা হয়, ওই নথি নিয়ে আসতে হবে। কত টাকা লোন নেওয়া হয়েছে? কীভাবে নেওয়া হয়েছে? EMI কোথা থেকে কাটা হয়? সব নথি দিতে হবে। ৫ই জুলাইয়ের মধ্যে এই নথি জমা দিতে হবে। সূত্রের দাবি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কটা অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই তথ্য দিয়েছেন সায়নী ঘোষ। এর পাশাপাশি, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টের কপিও চাওয়া হয়েছে।

(Feed Source: abplive.com)