‘মানুষের রক্ত দিয়ে রাজনীতির হোলি খেলা বন্ধ হোক’ ফের কড়া বার্তা রাজ্যপালের

‘মানুষের রক্ত দিয়ে রাজনীতির হোলি খেলা বন্ধ হোক’ ফের কড়া বার্তা রাজ্যপালের

কলকাতা: বাসন্তীর নিহত যুব তৃণমূল কর্মীর মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কড়া বার্তা রাজ্যপালের (Governor C V Anand Bose)। ‘মানুষের রক্ত দিয়ে রাজনীতির হোলি খেলা বন্ধ হোক। বাংলার কিছু জায়গায় সন্ত্রাস হয়েছে, এটা আমি পরিদর্শনের পর জানতে পেরেছি। যেখানে হিংসা হয়েছে, সেখানেই আমি গিয়েছি। ত্রুটি খুঁজতে নয়, সত্যি কী, খুঁজে বার করার মিশনে গিয়েছিলাম। যে আগুন জ্বালানো হয়েছে, সেই আগুন আর ছড়াতে দেওয়া যাবে না।’ ক্যানিংয়ে যুব তৃণমূল কর্মীর মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মন্তব্য রাজ্যপালের।

রাজভবনে খুলেছেন পিস রুম। সেই সঙ্গে নিজেও পৌঁছে যাচ্ছেন গ্রাউন্ড জিরোয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সন্ত্রাস-খুনোখুনির খবর পেয়ে, এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল। শনিবার রাতে ফুলমালঞ্চের বাসিন্দা, যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা।এদিন হত্যাকাণ্ডের সেই ঘটনাস্থলও ঘুরে দেখেন সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু, গ্রামে গিয়েও তিনি নিহতের বাড়িতে না যাওয়ায় দানা বাঁধে বিতর্ক। যুব তৃণমূল কর্মীর খুন হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই, তাঁর মেয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু, এদিন গ্রামে এসেও সিভি আনন্দ বোস তাঁদের বাড়িতে না যাওয়ায়, খুনে অভিযুক্ত ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন।

বারুইপুর জেলা পুলিশের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রাজ্যপালকে বিভ্রান্ত করা হয়নি। রাজ্যপালের সহযোগী জানতে চেয়েছিলেন, নিহতের বাড়ি কত দূরে। বলা হয়েছিল, ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে। যেতে ১৫ মিনিট সময় লাগবে। তখন রাজ্যপাল বলেছেন, সময় নেই, ক্যানিংয়ের গেস্ট হাউজে যাব। এদিকে খবর সম্প্রচার হওয়া মাত্রই, রাজভবনের তরফে ফোন আসে নিহতের মেয়ের কাছে। বাসন্তী থেকে ক্যানিংয়ের সেচ দফতরের গেস্ট হাউজে চলে যান রাজ্যপাল। আর এদিকে ফোন পাওয়া মাত্রই মোটরবাইকে রওনা দেন নিহতের মেয়েও। ক্যানিংয়ে মানোয়ারার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন সিভি আনন্দ বোস। নিহতের মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল।

কড়া বার্তা রাজ্যপালের: এদিন রাজ্যপাল বলেন, “আমি এখানে এসেছি। যেখানেই হিংসার ঘটনা ঘটছে, সেখানেই যাচ্ছি। এটা কোনও ‘ভুল ধরার মিশন’ নয়, কিন্তু এটা হল ‘সত্য অনুসন্ধানের মিশন।’ আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখতে পেয়েছি, রাজ্যের কিছু পকেটে হিংসা হয়েছে। খুনের রাজনীতি, ভয়ের রাজনীতি, পেশিশক্তি প্রদর্শনের রাজনীতির দায় কার, আমার কাছে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল, হিংসা জারি রয়েছে। রাজ্যের কিছু কিছু পকেটে মানুষজন আতঙ্কিত গুন্ডা এবং আইন ভঙ্গকারীদের কারণে। যার শেষ হওয়া দরকার।’’

(Feed Source: abplive.com)