সাদা গাউনে সেজে কোলে চেপে বিয়ের আসরে হাজির কুমির ‘কনে’! ভাইরাল ভিডিও

সাদা গাউনে সেজে কোলে চেপে বিয়ের আসরে হাজির কুমির ‘কনে’! ভাইরাল ভিডিও

মেক্সিকো সিটি: পরনে দুধ-সাদা বিয়ের গাউন। মাথায় আবার ফুল আর মুক্তোখচিত মুকুটও। কোলে চেপে বিয়ের আসরে উপস্থিত কনেকে তুলে দেওয়া হল সাদা পোশাকে সজ্জিত বরের হাতে। পরম আদর আর যত্নে হবু কনেকে কোলে তুলে নিলেন তিনিও। আর এই বিয়ের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু কেন? কনে আসলে কোনও যুবতী কিংবা মহিলা নন, বরং একটি কুমির!

আসলে পুরনো রীতি এবং ঐতিহ্য অনুসরণ করে কুমির অ্যালিসিয়া অ্যাড্রিয়ানার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন মেক্সিকোর ওয়াক্সাকার মেয়র ভিক্টর গুগো সোসা। সুখ-সমৃদ্ধির জন্যই এই প্রথা যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, আসলে এই বিবাহ দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়। যা দক্ষিণ মেক্সিকোর শহরতলিতে প্রায় ২৩০ বছর ধরে উদযাপিত হয়ে আসছে। যেদিন চোন্টাল এবং হুয়াভে নামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই দিনটিকে উদযাপন করার জন্যই এই বিয়ের আয়োজন। এখানে চোন্টাল গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেছেন মেয়র আর হুয়াভে গোষ্ঠীর প্রতিনিধি ছিল কুমিরটি।

বিবাহের আসরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ট্যুইটারে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মেয়র পরম ভালবাসায় কোলে তুলে নিয়েছেন কুমিরটিকে। আর শহরের মানুষ এই অনন্য বিবাহ উদযাপনের জন্য নাচ-গানে মেতে উঠেছে। কনেকে সাজানো হয়েছে একেবারে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে। যদিও তার মুখের অংশটা ছিল দড়ি দিয়ে বাঁধা!

বিয়ের আসরে অঙ্গীকার করে মেয়র বলেন যে, “আমি এই দায়িত্ব গ্রহণ করছি, কারণ আমরা একে অপরকে ভালবাসি। যেটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আসলে ভালবাসা ছাড়া বিয়ে হতেই পারে না। আমি রাজকুমারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছি।” এর পর সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে আরও জানা গিয়েছে যে, বিয়ের অঙ্গীকারের পরেই এক জন মৎস্যজীবী নিজের মাছ ধরার জালটিকে ছুড়ে দেন। কারণ তাঁদের বিশ্বাস, এই বিবাহের ফলে তাঁদের পেশাতেও সমৃদ্ধি আসবে। সেই সঙ্গে শান্তিও বিরাজ করবে।

কিন্তু কেন এই রীতি চলে আসছে? এটা নিয়ে কিছু প্রচলিত গল্প রয়েছে। মনে করা হয় যে, এক বার চোন্টাল গোষ্ঠীর এক রাজা এবং হুয়াভে গোষ্ঠীর এক রাজকন্যার মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার ফলে দু’টি গোষ্ঠী আরও কাছাকাছি চলে আসে। আবার সান পেড্রো হুয়ামেলুলার কাহিনীকার জেইম জারাতে বলেন যে, এই ধরনের বিবাহের রীতির ফলে সম্প্রদায়ের মানুষ ধরিত্রী মায়ের প্রতীকের সঙ্গে একাত্ম হতে পারে।

(Feed Source: news18.com)