‘আমার চাকরি ফিরিয়ে দিন,’ ফের হাইকোর্টে ববিতা সরকার, এবার অন্য আবেদন

‘আমার চাকরি ফিরিয়ে দিন,’ ফের হাইকোর্টে ববিতা সরকার, এবার অন্য আবেদন

ফের হাইকোর্টে শিলিগুড়ির ববিতা সরকার।আদালতের নির্দেশে শিক্ষিকা পদে চাকরি পেয়েও পরে আদালতের নির্দেশেই চাকরি বাতিল হয়েছিল তাঁর। এবারও সেই চাকরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা। তবে এবার আর তিনি তাঁর প্রতিপক্ষ কাউকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাননি। তিনি এবার তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার পেছনে অন্য একটি বিশেষ যুক্তিকে সামনে আনতে চাইছেন। কী সেই যুক্তি?

এদিকে বিগতদিনে মেখলিগঞ্জের তৃণমূল নেতা পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে সরিয়ে সেই পদে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। ববিতার এই চাকরি প্রাপ্তি নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এনিয়ে স্বস্তি পেয়েছিলেন ববিতা নিজেও। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। দেখা গিয়েছিল ববিতার চাকরিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নানা ত্রুটি থেকে গিয়েছে। এরপর গত মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় রায় দিয়েছিলেন এই চাকরি ববিতার হতে পারে না। এরপর চাকরি যায় ববিতার। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। আসলে অনামিকা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থীর এক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার যোগ্য বলে দেখা যায়। সেই মতো চাকরি যায় ববিতার। কিন্তু তিনি অবশ্য হাল ছাড়তে রাজি নন। ফের তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর চাকরি তিনি ফেরৎ পেতে চান।

ঘটনাচক্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসেই এই মামলাটি উঠেছে। সেখানে ববিতা একটি বিশেষ আবেদন করেছেন। সেটা হল একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করতে হবে। অর্থাৎ তাঁর আবেদন, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে কারা চাকরি পেয়েছেন তার বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে। কীভাবে এই প্যানেল তৈরি হয়েছিল, কাদের নাম ছিল সেই প্যানেলে, তারা কোথায় চাকরি পেয়েছেন তার বিস্তারিত বিবরণ চেয়েছেন তিনি। কিন্তু এভাবে বিস্তারিত বিবরণ পেলে ঠিক কী হবে?

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আসলে এই প্যানেলের মধ্য়ে কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে সেই নিয়োগও অবৈধ। তবে সেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা শিক্ষিকার চাকরিও বাতিল হতে পারে। আর কারোর চাকরি বাতিল হলে সেখানে শূন্যস্থান তৈরি হবে। প্রথম ২০জনের মধ্যে এরকম কোনও শূন্যপদ তৈরি হলে সেখানে ববিতা সরকারের চাকরি পাওয়ার সুযোগ বাড়বে। সেকারণেই তিনি পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছেন। আর সেই পূর্ণাঙ্গ তালিকা খতিয়ে দেখে অসংগতি ধরা পড়লেই সেখানে চাকরি পাওয়ার আশা ববিতার।

এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)