পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুর: একসময় এক টাকায় কত কিছুই না পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে মূল্য বৃদ্ধির বাজারে এসবই এখন যেন অতীত। দিন দিন ভোজ্য তেল এবং অন্যান্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়ে গিয়েছে চপের দাম। আগে দুই টাকা থেকে পাঁচ টাকাতেও বড় চপ পাওয়া যেত। তবে এখন সে সব চপের দাম বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা। ফলে ইচ্ছে থাকলেও চপ খেতে এখন দু’বার ভাবতে হয় অনেককেই।
তবে এই সময়ে দাঁড়িয়েও আজ দশ বছর ধরে এক টাকায় তেলেভাজা বিক্রি করে মানুষের মন জয় করে নিচ্ছেন খোকন মণ্ডল। উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের ঠাকুরবাড়ি এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের এই চপের দোকানে আজও মেলে ১ টাকায় তেলেভাজা। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও খোকনবাবু তাঁর দোকানের তেলেভাজার দাম বাড়াননি। সন্ধ্যা হলেই খোকনবাবু কড়াইয়ে ঝমঝম করে ভেজে ফেলেন একের পর এক তেলেভাজা।
তিনি জানান লাভ তেমন না হলেও এই তেলেভাজা খুব বেশি বিক্রি হয়। সন্ধ্যা হতেই দূর দূর থেকে বহু মানুষ এই তেলেভাজা খেতে ভিড় জমান। দোকানে আসা মৌসুমী দেবনাথ জানান ‘‘এক টাকায় তেলেভাজা পাওয়া যায় এখানে। তাই রোজ আসি। একমাত্র এই দোকানে এত কম দামে তেলেভাজা পাওয়া যায়।’’
বছরের পর বছর ধরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে মাত্র এক টাকায় চপ! স্বাভাবিক ভাবেই খুশি এলাকার বাসিন্দারা। শুধু এলাকার বাসিন্দারাই নন, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকেও মানুষ খোকনবাবুর দোকানে চপ কিনতে ভিড় জমান।