কুলারে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ কী আসলে সোনার পাথর-বাটি! বিষয়টা কী? জানুন

কুলারে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ কী আসলে সোনার পাথর-বাটি! বিষয়টা কী? জানুন

নয়া দিল্লি:  বর্ষাকালে অন্যতম সমস্যা আর্দ্রতা। এথেকে নানা রকম রোগভোগ হতে পারে। তবে আজকাল এসি-তে পাওয়া যায় আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করার বিশেষ মোড। অনেক কুলার উৎপাদনকারী সংস্থাও দাবি করে, কুলারেও রয়েছে এই ফিচার। কিন্তু সত্যিই কি ঘরের আর্দ্রতা কম করার মতো ক্ষমতা থাকে কুলারে। জেনে নেওয়া যাক সত্যিটা। বর্ষায় আর্দ্রতা অনেক বেড়ে যায়, তাপমাত্রা বেশি না থাকলেও প্রচুর ঘাম হয়। কুলার আবার আর্দ্র আবহাওয়ায় ঠিক মতো কাজ করে না। মে-জুন মাসের মতো শুষ্ক গ্রীষ্মে যখন বাতাসে আর্দ্রতা প্রয়োজন হয় তখন কুলার ঠান্ডা হাওয়া দিতে পারে। কিন্তু বর্ষা নেমে গেলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন শরীরে শুষ্ক বাতাসের প্রয়োজন হয়।

এমন অনেক কুলার পাওয়া যায়, যাতে ‘হিউমিডিটি কন্ট্রোল’ ফিচার রয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু সত্যিই কি তাই? যেমন ধরা যাক Crompton Optimus এর ইনভার্টার কম্পিটেবল ১০০ লিটারের পোর্টেবল ডেজার্ট এয়ার কুলার, এটি পাওয়া যাচ্ছে Amazon-এ। এতে রয়েছে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল এয়ার থ্রো প্রযুক্তি, অটো ফিল, হাই ডেনসিটি হানি কোম্ব, হিউমিডিটি কন্ট্রোল ফিচার। কিন্তু এটি কি সত্যিই আর্দ্রতা কমাতে পারে?

আসলে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করার ফিচার কুলারের ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ বৈশিষ্ট্য নয়। এটি শুধুমাত্র কুলারে জলের ব্যবহার বৃদ্ধি বা হ্রাস করে। অর্থাৎ কম সেটিংয়ে রাখলে কম জল ব্যবহার করা হবে। প্রয়োজন মতো জলের ব্যবহার বাড়িয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু কম সেটিংয়েও কুলার ঘরের আর্দ্রতা ধীরে ধীরে বাড়াবে। কুলারের পক্ষে ঘরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কারণ এই যন্ত্রটি কাজই করে বাষ্পীভবনের সাহায্যে।

বাষ্পীভবনের সাহায্যেই ঘরের তাপমাত্রা কম করা হয়। তবে এটি প্রতিরোধের উপায় আছে। ঘরে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকা এজন্য খুবই জরুরি। জানালা ও দরজা খোলা রাখতে হবে। পাশাপাশি ঘরে একটি শক্তিশালী এগজস্ট ফ্যানের ব্যবহারও করা দরকার। তাতে ঘরের আর্দ্রতা অনেকাংশে কমতে পারে।

(Feed Source: news18.com)