জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিন এখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে, তেমনই দাবি তাঁর। তিনি দলাই লামা। সম্প্রতি বলেছেন, চিন এখন উপলব্ধি করেছে যে, তিব্বতিদের অনুভূতি খুব গভীর। তারা এখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমিও কথা বলতে আগ্রহী। আমরা (তিব্বতিরা) স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টা করছি না, বহু বছর ধরে আমরা চিন প্রজাতন্ত্রেরই অংশ থেকে গিয়েছি। চিন আমাদের ভুল বুঝত, তবে এখন চিন বদলাচ্ছে।
৬ জুলাই ছিল চতুর্দশ দলাই লামার জন্মদিন। সেদিন তিনি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিলেন। সেই ভিডিয়োতে তিনি নিজের বার্তাও দিয়েছেন। তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। তার আগে কাংড়া বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন। সেখানেই হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা থেকে ধর্মীয় নেতা দলাই লামা জানিয়েছেন, তাঁরা কখনওই তিব্বতের স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করেননি, বরং অটোনমির কথাই বলে এসেছেন। তাঁরা চিনের সঙ্গে আছেন, চিনের সঙ্গেই থাকবেন।
পুনর্জন্ম নেন দলাই লামা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সেটাই বিশ্বাস করেন। তিব্বতিদের বিশ্বাস দলাই লামা ‘করুণাময় বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বরের অবতার’৷ একজন দালাই লামা মারা গেলে, বৌদ্ধ সাধকেরা পরবর্তী জনের খোঁজ করেন। পুনর্জন্ম নেওয়া সেই নতুন অবতারই ক্রমে হয়ে ওঠেন পরবর্তী দলাই লামা। সাধারণত একটি অল্পবয়স্ক ছেলের মধ্যে এই আত্মার আত্মপ্রকাশ ঘটে, যাকে পূর্ববর্তী শাসকের ক্রমধারা রক্ষার্থে দালাই লামার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
দলাই লামা হলেন তিব্বতিদের আধ্যাত্মিক প্রধান, তিব্বতের শাসনতন্ত্রের শীর্ষ পদাধিকারী। ১৩৯১ সালে প্রথম দালাই লামার জন্মের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন দালাই লামা এসেছেন। তিব্বতের লাসা শহরের পোতালা প্রাসাদে দলাই লামার বাসভবন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের নানা উত্তেজনার কারণে দলাই লামা তাঁর বাসভবনে থাকতেন না।
(Feed Source: zeenews.com)