মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুগলের, তৎপরতার সঙ্গে রক্ষা করলেন কর্মীরা

মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুগলের, তৎপরতার সঙ্গে রক্ষা করলেন কর্মীরা

ফের মেট্রো ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে যুগল। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে এমজি রোড মেট্রো স্টেশনে দমদমগামী মেট্রোয়।

মেট্রো সূত্রের খবর, এদিন এমজি রোড মেট্রো স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক যুবক। ঘড়ির কাঁটায় তখন ২ টো ২৭ মিনিট। আচমকা তাঁরা দমদম মেট্রো সামনে ঝাঁপ দেন। ঘটনায় দ্রুত মেট্রোর থার্ড লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মেট্রো কর্তৃপক্ষ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যুগলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ মেট্রো পরিষেরা বন্ধ থাকে। পরে যুগলকে উদ্ধার করা হলে পুনরায় মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। এই সময়ের মধ্যে কবি সুভাষ থেকে থেকে ময়দান এবং দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে মোটা চলাচল করে। ২ টো ৫৮ মিনিট নাগাদ মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও এই দিনের ঘটনায় ওই যুগলের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে মেট্রো কর্তৃপক্ষের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারে ওই যুগল।

যদিও এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে মেট্রো ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ঘটনা ঘটেছে। গত ৩ জুন একইভাবে মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়েছিল এক যুগল। ঘটনাটি ঘটেছিল নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনের ডাউন লাইনে। সেই ঘটনায় মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। ফলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল যাত্রীদের। এদিনও এই ঘটনার ফলে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।

উল্লেখ্য, মেট্রোয় আত্মহত্যা রুখতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি স্টেশনে করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া মেট্রো স্টেশনে লাগানো এলইডি স্ক্রিনে আত্মহত্যা রোধে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে। মানসিক সমস্যা থাকলে সে ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া রয়েছে। তা সত্ত্বেও মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না। সাধারণত কলকাতা শহরের লাইফ লাইন হল মেট্রো। প্রতিদিন বহু মানুষ মেট্রোর মাধ্যমে যাতায়াত করেন। স্বাভাবিকভাবে আত্মহত্যা ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে মেট্রো পরিষেবা ব্যহত হয়। বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।

(Feed Source: hindustantimes.com)