ড্রাগন ফ্রুটের কামাল! পেশাদার ইঞ্জিনিয়ারকে সমৃদ্ধ কৃষক করেছে ফলন

ড্রাগন ফ্রুটের কামাল! পেশাদার ইঞ্জিনিয়ারকে সমৃদ্ধ কৃষক করেছে ফলন

কর্নাটক: ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার হবেন। সেই মতো চলছিল পড়াশোনা। সাফল্যও এসেছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরিতে ঢুকেছিলেন। কিন্তু করোনা অতিমারী সব কিছু ওলট-পালট করে দিল। তবে এই ওলট-পালটে আখেরে লাভই হয়েছে ওই ইঞ্জিনিয়ারের। আপাতত কৃষিকাজ করেই দেদার লাভ করছেন তিনি।

এখন তাঁর মাঠে তারার মতো জ্বলজ্বল করে গোলাপি রঙের ড্রাগন ফ্রুট। তরুণ কৃষক নেড়েচেড়ে দেখেন নিজের হাতে ফলানো ফসল। একজন পেশাদার ইঞ্জিনিয়ার থেকে জীবন তাঁকে পেশাদার কৃষিবিদ হিসেবে তৈরি করে নিয়েছে।

কর্নাটকের কালাবুর্গির সেদাম তালুকের সীমান্ত এলাকা ইটাকাল গ্রামের বাসিন্দা মহেন্দ্র ইঞ্জিনিয়ার হয়েও এখন সফল কৃষক হিসেবে পরিচিতি তৈরি করে ফেলেছেন।

মহেন্দ্র জানিয়েছেন, তিনি বি.ই স্নাতক শেষ করার পর হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থায় ইঞ্জিনিয়ার হিসাবেই তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। সবই চলছিল সেই মতো। যদিও প্রথম থেকেই তাঁর কৃষির প্রতি আগ্রহ ছিল। কিন্তু পড়াশোনা, চাকরির তাগিদে সেই আগ্রহ এক সময় হারিয়ে যায়। সেই আগ্রহই প্রয়োজন হয়ে দেখা দেয় করোনা অতিমারীর সময়। চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফিরে পুরোপুরি কৃষিকাজে মন দেন তিনি।

ড্রাগন ফ্রুটের চাষ—

করোনা অতিমারীর সময় চাকরি ছেড়ে যখন চাষের কথা ভাবছিলেন, মহেন্দ্র তখনই তাঁর আত্মীয় বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পারেন ড্রাগন ফ্রুট চাষের কথা। শুরু করেন নানা তথ্য সংগ্রহের কাজ। তারপর শিমব্রেড নামে এক বিশেষ জাতের ড্রাগন ফ্রুট চাষ করতে শুরু করেন।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছে়ড়ে মহেন্দ্র কৃষক হলেন। আর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পেলেন সাফল্য। এখন তিনি একজন ধনী কৃষক হিসেবেই নিজের পরিচিতি তৈরি করে ফেলেছেন। পাকাপাকি ভাবে বিদায় জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিংকে।

এক একর জমিতে বছরে দু’বার ফসল ফলিয়ে বছরে ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা আয় করছেন তিনি। তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না, কৃষিজ ফসল থেকে লাভ করে জীবনের পথে আরও এগিয়ে যেতে চান মহেন্দ্র।

(Feed Source: news18.com