‘বাংলা ভাগ চায় BJP’, অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়ায় খাপ্পা তৃণমূল

‘বাংলা ভাগ চায় BJP’, অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়ায় খাপ্পা তৃণমূল

 

পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার ৬টি আসনে নির্বাচন এবং একটি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। এর মধ্যে একটি আসনের উপনির্বাচনে জয় নিশ্চিত তৃণমূলের। এছাড়া যে ৬টি আসনে পূর্ণ মেয়াদের জন্য সাংসদ বাছাই হবে, তাতেও পাঁচটিতে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। অপর আসনটিতে জয় নিশ্চিত বিজেপির। বিজেপি এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও প্রার্থীকে নির্বাচিত করে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে। এর আগে স্বপন দাশগুপ্ত, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বাংলার একাধিক ব্যক্তিত্বকে মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে এই প্রথম নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলা থেকে সংসদের উচ্চকক্ষে প্রতিনিধি পাঠাবে বিজেপি। আর সেই প্রার্থী হতে চলেছেন অনন্ত মহারাজ। বিজেপির এহেন প্রার্থী বাছাইয়ে অবশ্য বেজা চটেছে রাজ্যর শাসকদল তৃণমূল।

উল্লেখ্য, পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরব রাজবংশী সমাজের নেতা অনন্ত মহারাজ। এই আবহে অনন্তকে বিজেপি প্রার্থী করায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর কথায়, ‘এই মনোনয়নই প্রমাণ করে দিচ্ছে যে বাংলায় বিচ্ছিনতাবাদী আন্দোলনে ইন্ধন দিচ্ছে বিজেপি।’ যদিও অনন্তের মনোনয়ন প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমরা সকল জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ও সবকা বিশ্বাস’ আদর্শে বিশ্বাসী।’ এদিকে মনোনয়ন পাওয়া অনন্ত মহারাজ কী বলছেন? তাঁর কথায়, ‘আমি খুশি যে তারা আমাকে বেছে নিয়েছে। আমি রাজ্য ও আমার এলাকার মানুষের সেবা করার চেষ্টা করব।’

যদিও বিজেপির এই যুক্তি এবং অনন্ত মহারাজের ‘রাজ্যের জন্য কাজ করব’ মন্তব্যে মন গলছে না তৃণমূলের। শান্তনু এই নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা বহুদিন ধরেই বলে আসছি যে বিজেপি উত্তরবঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চালাচ্ছে এবং তারা রাজ্যকে ভাগ করতে চায়। এই ঘটনা আমাদের সেই দাবিকে সঠিক বলে প্রমাণ করে। বিজেপির স্পষ্ট বলে দেওয়া উচিত যে তারা রাজ্য ভাগ করতে চায় কি না।’

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর উত্তরবঙ্গে যে জমি বিজেপি নিজেদের পায়ের তলায় পেয়েছিল, তা ক্রমেই আলগা হচ্ছে। এরই মাঝে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিজেপির সাংসদ বিধায়কদের অনেকে। যদিও বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব প্রথম থেকেই বলে এসেছে যে তারা পৃথক রাজ্যের বিরোধী। এদিকে সদ্য সমাপ্ত হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে নিজেদের জমি ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। এই আবহে বিশ্লেষকদের মত, রাজবংশী ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতেই অনন্তকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে বিজেপি। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ বলে অনুমান।

(Feed Source: hindustantimes.com)