আদালতের চড় খেয়ে BSF-এর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব, দিলেন সহযোগিতার আশ্বাস

আদালতের চড় খেয়ে BSF-এর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব, দিলেন সহযোগিতার আশ্বাস

আদালতে চড় খাওয়ার পর অবশেষে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে বসল রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নবান্নে বিএসএফের আইজি সতীশচন্দ্র বুদোকোটির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যসহ পদস্থরা। বৈঠকে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট শেষ হলেও থামেনি হানাহানি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে আরও ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যে ভোট হিংসা নিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় বিএসএফ। তাতে উল্লেখ করা হয়, ভোটে নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহারের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না কমিশনের। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে যে বাহিনী পৌঁছেছে তাকে পাঠানো হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আবার দক্ষিণবঙ্গের বাহিনীকে পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গে। এভাবে সময় নষ্ট করা হয়েছে। এর পরই আদালত নির্দেশ দেয়, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা থামাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করতে হবে। দ্রুত আধাসেনার আধিকারিকদের সঙ্গে মুখ্যসচিবকে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের রূপরেখা তৈরি করতে হবে। আদালতের নির্দেশে পরদিনই বিএসএফের নোডাল অফিসারের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যসচিবসহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

এদিনের বৈঠকে রাজ্যে হিংসা থামাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া উপদ্রুত এলাকায় কাজ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে জেলা স্তরে তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত জেলাকে হিংসা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব জায়গায় হিংসার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মজুত রাখতে হবে। উপদ্রুত এলাকায় রুট মার্চ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আদালতের নির্দেশে তেতো গেলার মতো এই বৈঠকের কোনও সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয় কি না সেদিকে নজর থাকবে সবার।

(Feed Source: hindustantimes.com)