নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন কে ? প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-কে প্রশ্ন হাইকোর্টের

নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন কে ? প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-কে প্রশ্ন হাইকোর্টের

সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) মামলায় ED-কে একের পর এর প্রশ্নবানে বিদ্ধ করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তিনি জানতে চান, নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন কে? দুর্নীতির পিছনে কার মাথা? ২৯ শে অগাস্ট, ED এবং CBI-কে পরবর্তী রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন কে ? দুর্নীতির পিছনে কার মাথা ? প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ED-র আইনজীবীকে এই কড়া ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নই করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির অমৃতা সিনহা। তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরও জানতে চান। তিনি বলেন এই দুর্নীতির তদন্তে আপনারা যখন একটা গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছবেন, তখন এই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আদৌ থাকবে তো ? তদন্ত কি অনন্তকাল চলবে ? এরপর তিনি বলেন, আকাঙ্খিত গতিতে আপনাদের তদন্ত চলছে না।

এদিন, আদালতে CBI-কে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, টাকা দিয়ে কারা চাকরি কিনেছেন, তা খুঁজে বের করুক CBI। টাকা দিয়ে চাকরি পেয়ে কারা কারা বর্তমানে কাজ করছেন? তাও CBI-কে খুঁজে বের করতে হবে। এর পাশাপাশি, তদন্তের কী অগ্রগতি, তা ED এবং CBI-এর কাছে জানতে চান বিচারপতি সিনহা। ED এদিন আদালতে জানায়, কুন্তল ঘোষ, অয়ন শীল এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

কুন্তল ঘোষ, অয়ন শীল ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪৩টি স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। অভিযুক্ত ও তাঁদের পরিজনদের নামে এই সম্পত্তি রয়েছে। হাইকোর্টে পেশ ED-র রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ED-র নজরে রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক সাড়ে তিনশো কোটি টাকা ছুঁতে পারে বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে ED।

তাদের আরও দাবি, এই টাকা বাংলা চলচ্চিত্র জগতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। সম্প্রতি ১৯টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি হয়েছে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এবং তাঁর পরিবারের নামে সম্পত্তি রয়েছে। তার তদন্ত চলছে। ২৯ শে অগাস্ট, ED এবং CBI-কে পরবর্তী রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

এর পাশাপাশি, বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন আরও বলেন, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কি পুরসভার নাম আর পুর-আইন চেয়ে পাঠাচ্ছেন CBI-এর তদন্তকারী আধিকারিক? এটা কী ধরনের তদন্ত হচ্ছে? আপনাদের তদন্তকারীরা তদন্ত নিয়ে মাথাই ঘামাচ্ছে না বলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

এদিন আদালতে ED-র তরফে রিপোর্ট দিয়ে দাবি করা হয়, কুন্তল ঘোষের উপর কোনও শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। কুন্তল ঘোষের অভিযোগ মিথ্যা। চিকিৎসক, পরিবার এবং আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে।

(Feed Source: abplive.com)