ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে ওয়ান ডে সিরিজ হারের জ্বালা মিটিয়ে নিলেন শাকিব আল হাসানরা। পরবর্তী দু’ম্যাচের টি-২০ সিরিজে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। রবিবার সিলেটে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৬ উইকেটে হারিয়ে দেন শাকিবরা।
সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে তুলনায় কষ্ট করে জিততে হয় বাংলাদেশকে। তবে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে আগাগোড়া দাপট বজায় রাখেন শাকিবরা। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। ৭.২ ওভার খেলা হওয়ার পরেই বৃষ্টির জন্য থমকে যায় আফগানদের ইনিংস। আফগানিস্তান তখন ব্যাট করছিল ২ উইকেটে ৩৯ রান তুলে।
বৃষ্টিতে বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হওয়ায় ম্যাচ পুনরায় শুরু হলে ওভার সংখ্যা কমানো হয়। স্থির হয় ১৭ ওভার প্রতি ইনিংসের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আফগানিস্তান নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১১৬ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ২৫ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ২১ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ২২ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ২০ রান করেন করিম জানাত। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ বলে ১৬ রান করেন মহম্মদ নবি। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৮, হজরতউল্লাহ জাজাই ৪, নাজিবউল্লাহ জাদরান ৫, রশিদ খান ৬ ও মুজিব উর রহমান ১ রানের যোগদান রাখেন।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৩৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ১৫ রানে ২টি উইকেট নেন ক্যাপ্টেন শাকিব আল হাসান। ৩০ রানে ২টি উইকেট দখল করেন মুস্তাফিজুর রহমান। উইকেট পাননি হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।
ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য পরিবর্তিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৭ ওভারে ১১৯ রানের। বাংলাদেশ একেবারে শেষ ওভারে জয় নিশ্চিত করে। তারা ১৬.১ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১১৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।
ওপেন করতে নেমে লিটন দাস ৩৬ বলে ৩৫ রান করে আউট হন। তিনি ৬টি চার মারেন। ২টি ছক্কার সাহায্যে ২০ বলে ২৪ রান করেন আফিফ হোসেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ১৯ রান করেন তৌহিদ হৃদয়। শাকিব ১১ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭ বলে ৭ রান করে নট-আউট থাকেন শামিম হোসেন। ৬ বলে ৪ রান করে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত।
আফগানিস্তানের হয়ে ১৭ রানে ২টি উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ২৮ রানে ২টি উইকেট নেন মুজিব উর রহমান। রশিদ ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করলেও উইকেট পাননি। ব্যাটে-বলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে ম্যাচের সেরা হন শাকিব। সিরিজের সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি।
(Feed Source: hindustantimes.com)