স্যামসাং ফোনের ডিজাইন চিনকে বিক্রি করায় তিন বছরের জেল

স্যামসাং ফোনের ডিজাইন চিনকে বিক্রি করায় তিন বছরের জেল

কোম্পানির প্রাক্তন প্রধানই অভিযুক্ত চুরির দায়ে। আগের ঘটনা নয়। ২০১৮ সালের একটি মামলার নিষ্পত্তি হল সম্প্রতি। শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার বলে, চিনের টেকনোলজি কোম্পানিগুলিতে স্যামসাং কোম্পানির ডিসপ্লে’র এজ প্যানেল প্রযুক্তি পাচার করেন একটি মাঝারি আকারের প্রযুক্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রধান। এই কারণে তিন বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা হয়েছে।

এজড প্যানেল প্রযুক্তি, যা থ্রি-ডি ল্যামিনেশন প্রযুক্তি নামেও পরিচিত, সেই প্রযুক্তিই স্যামসাং স্মার্টফোনের বাঁকানো স্ক্রিন প্রান্ত তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। সংবাদ সংস্থাগুলির সূত্রে পাওয়া খবর, প্রযুক্তির উন্নয়নে স্যামসাং-এর প্রায় ১১৭.৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল। শুধু তাই নয়, ৩৮ জন বিশ্বমানের ইঞ্জিনিয়ারের ছয় বছরের গবেষণার ফল এই প্রযুক্তি। সেই বিশ্বসেরা প্রযুক্তিই গোপনে চিনা কোম্পানিতে পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রযুক্তি কোম্পানির প্রাক্তন সিইও।

উৎপাদন সরঞ্জামে বিশেষজ্ঞ একটি মাঝারি আকারের ফার্ম টপটেক কোম্পানির একজন প্রাক্তন সিইও এবং আধিকারিকরা ২০১৮ সালের এপ্রিলে টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন এবং এজ প্যানেল প্রযুক্তি অন্য একটি কোম্পানির কাছে ফাঁস করে দেয়। তাঁরা নথির কিছু অংশ দুটি চিনা কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। যেগুলি স্যামসাং কোম্পানির পেটেন্ট নেওয়া ছিল। এরফলেই উঠেছে প্রযুক্তি পাচারের অভিযোগ।

একটি জেলা আদালত প্রাথমিকভাবে টপটেকের প্রাক্তন সিইও এবং কর্মকর্তাদের দোষী সাব্যস্ত না করে ছেড়ে দেয়। তাঁরা বলেন, ফাঁস হওয়া প্রযুক্তিটি কোনও ব্যবসায়িক গোপনীয়তা অংশ ছিল না। পরে উচ্চ আদালত অবশ্য এই রায়ের বিপরীত প্রতিক্রিয়া জানায় এবং প্রাক্তন সিইওকে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। তাঁরা যুক্তি দেন, প্রযুক্তিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি হিসাবে স্বীকৃত, তাই এটিকে সর্বজনীন ডোমেনে ফাঁস করে দেওয়া অপরাধ।

স্যামসাং অভিযোগ করেছে, স্যামসাং-এর দেওয়া প্রযুক্তিগত অঙ্কনের উপর ভিত্তি করে সংস্থাটি ২৪ ইউনিট উৎপাদন করেছে, এর মধ্যে ১৬টি চিনা সংস্থাগুলিতে বেচেও দিয়েছে। বাকিগুলিও বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছে।

আপিল আদালতও সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে আসামিরা ব্যবসায়িক গোপনীয়তা ফাঁস না করা উচিৎ হয়নি, তাঁরা দায়িত্ব লঙ্ঘন করেছে। প্রাক্তন টপটেক সিইওর তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। টপটেকের অন্য দুই নির্বাহীকেও চূড়ান্ত দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও কোম্পানিটিকে ১০০ মিলিয়ন ওউন জরিমানা জরিমানা করা হয়েছে। প্রযুক্তির দুনিয়ার এই ধরনের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ বহু পুরোনো। কিন্তু টপটেকের কান্ডকারখানা নতুন করে এমন বিতর্ক উস্কে দিল।

(Feed Source: hindustantimes.com)