‘‌নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া গণতন্ত্র বিরোধী’‌, শান্তনু–সুকান্ত লাইনে অমত দিলীপ

‘‌নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া গণতন্ত্র বিরোধী’‌, শান্তনু–সুকান্ত লাইনে অমত দিলীপ

পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোহারা হেরে যাওয়ার পর বিজেপির নেতা–মন্ত্রীরা রাজ্যের সরকার ফেলে দিতে মরিয়া। শুভেন্দু অধিকারীর ৩৫৫ ধারার থিওরি থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার–শান্তনু ঠাকুরের পাঁচ মাসের মধ্যে সরকার ফেলে দেওয়ার নিদানে এখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড়। ইতিমধ্যেই তাঁরা পাঁচ মাসের উল্লেখ করে কার্যত ডিসেম্বর ডেডলাইন দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এসব মন্তব্যকে ‘‌আষাঢ়ে গল্প’‌ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। আর এই আবহে শান্তনু ঠাকুর এবং সুকান্ত মজুমদারের দেওয়া লাইনের বাইরে গিয়ে হাঁটলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আর দিলীপ ঘোষের অন্য লাইনে হাঁটা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে এটা উচিত নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। আজ, সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে উলটো লাইনেই হাঁটলেন তিনি। গতকাল বিজেপির পর্যালোচনা বৈঠকেও রাজ্য নেতৃত্বকে তুলোধনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। হারের কারণ যে সংগঠন সেটা তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে। তাছাড়া জেতা আসন কেন হারল দল?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। এমনকী সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন দিলীপ ঘোষ। আজ যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতির ময়দানে।

এদিকে শান্তনু ঠাকুর গতকাল বলেছিলেন, আগামী ৫ মাসের মধ্যে রাজ্যে তৃণমূলের সরকার পড়ে যাবে। তাঁর কথায়, ‘‌বাংলায় শাসকদল যেভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন করিয়েছে তাতে গণতন্ত্র চলতে পারে না। তৃণমূল সন্ত্রাস না করলে বিজেপি ১০ গুণ বেশি ভোট পেত। এদের ভাবনা এরা চিরস্থায়ী। কিন্তু এরা চিরস্থায়ী নয়, আগামী ৫ মাসের মধ্যেই এদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।’‌ আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘‌সরকার পাঁচ মাস ছ’মাস যখন খুশি পড়ে যেতে পারে। অসুবিধার তো কিছু নেই। সরকার কী ভাবে চলে? বিধায়কদের সমর্থনে। বিধায়কেরা হঠাৎ মনে করল, আমরা সমর্থন করব না। বিধায়কদের তো মনে হতেই পারে। না হওয়ার তো কিছু নেই। আবার ধরুন, এমন গণআন্দোলন শুরু হল, যে হাত জোড় করে সবাই বিধায়ক পদ ছেড়ে দিল। এরকমও গণআন্দোলন হতে পারে’।

দিলীপ ঘোষ ঠিক কী বলছেন?‌ এই শান্তনু ঠাকুর এবং সুকান্ত মজুমদারের লাইনে হাঁটতে নারাজ মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আজ সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‌এই যা পরিস্থিতি, তাতে অনেকে অনেক হিসেব করে অনেক কথা বলছেন। মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া গণতন্ত্র বিরোধী।’‌ ফলে তিনি যে ব্যতিক্রম সেটি আবার বুঝিয়ে দিলেন। আর তৃণমূল কংগ্রেস সরকার যে পাঁচ মাসের মধ্যে পড়ছে না সেটারও ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

(Feed Source: hindustantimes.com)