বেতন বন্ধ! ফের বেনজির হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, এবার কী নির্দেশ!

বেতন বন্ধ! ফের বেনজির হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, এবার কী নির্দেশ!

কলকাতা: আবারও রেগে গেলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এবার সরাসরি প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতির বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ! বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা এজলাস৷

বেতন বন্ধ! বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একথা বলার পরেই আদালত চত্বরে ভেঙে পড়লেন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি৷  সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি ডঃ গৌতম পালকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ তিনি হাজির হতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি জানান, যতদিন পর্যন্ত না আদালতের পূর্বতন নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে, ততদিন তাঁর বেতন বন্ধ রাখা হবে৷ একথা শুনতেই ভেঙে পড়েন সভাপতি৷

প্রায় জোড় হাত করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে বোর্ড সভাপতি ডঃ গৌতম পাল বলে ওঠেন, ‘‘বোর্ড থেকে কোনও বেতন পাইনা। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেতন পাই। মা অসুস্থ। অন্য কোনও আয়ের উৎস নেই আমার। প্লিজ বেতন বন্ধ করবেন না। একক বেঞ্চের নির্দেশ ৭ দিনেই কার্যকর করব। আমার কোনও ভুল হলে মাফ করে দেবেন।’’

মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আমনা পারভিন ৬ নম্বর প্রশ্ন ভুল মামলার প্রেক্ষিতে টেট উত্তীর্ণ হন। এরপরেই আদালতে আমনা পারভিনের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আবেদন জানান, যাতে পরে ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে ভবিষ্যতের শূন্যপদ অনুসারে তাঁর মক্কেলকে চাকরির সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়৷ গত ৭ জুন এবিষয়ে বোর্ডকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশে জানানো হয়, ৩ সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

কিন্তু, অভিযোগ, সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি৷ এ নিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ পরে ১৪ জুলাই বোর্ডের আইনজীবী আদালতে জানান, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার বিষয়ে বোর্ড কী ভাবছে, তা যেন আদালতকে জানায় পর্ষদ৷

এরপরেই সোমবার সকালে সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করার অনুমতি নেয় প্রাথমিক বোর্ড। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷

পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উপস্থিত হওয়া মাত্র পর্ষদ সভাপতির বেতন বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি। তখনই পর্ষদ সভাপতি জানান, বোর্ডের ভুল হয়ে গেছে।

বোর্ডকে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য  ৫ মিনিট সময় বেঁধে দেন বিচারপতি৷ পাঁচ মিনিট পরে এজলাসে এসে পর্ষদ সভাপতি আশ্বাস দেন, ডিভিশন বেঞ্চ থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে৷ সেই শর্তে বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েও প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

(Feed Source: news18.com)