দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের বিদ্যুৎহীন, রাস্তাঘাটহীন হত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষটি আজ সকলের কাছে ‘স্যার’ নামে পরিচিত। শত প্রতিকূলতাকে জয় করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ার নেশায় মেতে আছেন সমীর কুমার মণ্ডল। সুন্দরবনের অভাবী পরিবার থেকে উঠে এসে আজ তিনি নিজেই সুভাষগ্রামে তৈরি করেছেন স্কুল। সেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে এক ঝাঁক ছেলেমেয়েকে।
সরকারি স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি ২০১০ সালে নিজের একটি ছোট্ট স্কুল গড়ে তোলেন সমীরবাবু। সেই শুরু। সেখানে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করা হয় পড়ুয়াদের। লক্ষ্য আগামী দিনে যাতে তারা সমস্ত লড়াইয়ে জয়ী হতে পারে। সুভাষগ্রামের এই স্কুলটির নাম বিবেকানন্দ বিদ্যানিকেতন। বর্তমানে এটি সকলের কাছে সুপরিচিত হয়ে উঠেছে।
২০১০ সালে ৯৭ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল বিবেকানন্দ বিদ্যানিকেতনের। বর্তমানে এই অত্যাধুনিক স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ১,১০০ পেরিয়েছে। তবে শিক্ষা গ্রহণ করতে অর্থ এখানে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের ছেলেমেয়েরাও সমানভাবেই এখানে পড়াশোনা করতে পারে। বিবেকানন্দ বিদ্যানিকেতনের এই গোটা যাত্রাপথ কীভাবে সম্ভব হল তা বর্ণনা করতে গিয়ে সমীর কুমার মণ্ডল বলেন, প্রকৃত মানুষ গড়তে এই উদ্যোগ। তার জন্য মন প্রাণ দিয়ে কাজ করে এই পর্যায় এসে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে। লক্ষ্য একটাই, আর্থিক অভাব যেন পড়াশোনার পথে অন্তরায় না হয়। টাকা না থাকলেও এখানে পড়াশোনা করা সম্ভব। স্কুলের মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থাও করেছেন সমীরবাবু।
(Feed Source: news18.com)