‘বাওয়াল’ ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সংযোগ, নির্মাতাদের কাছে ডাবিং করার অনুরোধ জাপানের

‘বাওয়াল’ ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সংযোগ, নির্মাতাদের কাছে ডাবিং করার অনুরোধ জাপানের

কলকাতা: ২১ জুলাই প্রাইম ভিডিওয় (Prime Video) প্রায় ২০০ দেশ জুড়ে মুক্তি পাচ্ছে নীতেশ তিওয়ারি (Nitesh Tiwari) পরিচালিত ছবি ‘বাওয়াল’।  প্রথম থেকেই ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War 2) ও অ্যাডলফ হিটলারের (Adolf Hitler) প্রসঙ্গ টানায় জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রেমকাহিনির মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রসঙ্গ টানার কি প্রয়োজন, খোলসা করেছিল পরিচালক নিজেই।

পরিচালক নীতেশ তিওয়ারির কথায় দর্শক ছবিতে যখন গল্পটি পুনর্বিবেচনা করেন তখন এমন কিছু ঘটনা খুঁজে পাওয়া যাবে যা চরিত্রের কাঠামো নির্ধারণে বিশাল ভূমিকা পালন করে। তিনি এও জানান যে ট্রেলারে অনেক গল্প প্রকাশই করা হয়নি।

আর ছবির সঙ্গে  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সংযোগ হওয়ার কারণেই জাপানের চলচ্চিত্র সংগঠন এই ছবিকে স্থানীয় ভাষায় ছবিটিকে ডাব করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

‘বাওয়াল’ ছবির গল্প অজয় দীক্ষিতকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। অজয় একজন সাধারণ ছেলে যে পাড়ার উচ্চবিদ্যালয়ে ইতিহাসের শিক্ষক, যাঁকে অনেকে ভালবেসে অজ্জু ভইয়া বলেও ডাকে। নিজের এলাকায় ভালই বিখ্যাত সে, এবং এই ‘তারকা’ সুলভ খ্যাতি ভালই উপভোগ করে। কিন্তু এই খ্যাতির সৌজন্যে রয়েছে তার নিজের তৈরি ভুয়ো পরিচয়। পরিস্থিতি তাকে ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ন্যায় যাত্রা শুরু করতে বাধ্য করে এবং সে তার নব-বিবাহিত স্ত্রী নিশাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। নিশার সঙ্গে তার বেশ মজার সম্পর্ক। এরপর যে একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে তা অজয়ের বিয়েকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় এবং নিজেদের অন্দরের ‘যুদ্ধ’র মোকাবিলা করতে বাধ্য করে। ভারত ও বিদেশের একাধিক লোকেশনে শ্যুটিং করা হয়েছে এই ছবির। ট্রেলারেই স্পষ্ট এই প্রেমকাহিনি অর্থপূর্ণ বার্তা দেবে দর্শককে, যা বিশ্বজুড়ে দর্শককে প্রভাবিত করবে বলে মনে করছেন নির্মাতারা।

অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেতে চলেছে বরুণ ধবন ও জাহ্নবী কপূর অভিনীত, নীতেশ তিওয়ারি পরিচালিত ‘বাওয়াল’। প্রসঙ্গত, ছবির টিজার প্রকাশ্যে আসার পর ট্যুইটারে একদল নেটিজেন তাঁদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। কেউ লেখেন, ‘দাঁড়ান, শেষ দৃশ্যটা কি গণহত্যার ইঙ্গিত দিল? কিন্তু একটা প্রেমের গল্পে এই প্রসঙ্গ টানার অর্থ কী? যদি এটা নিয়ে ঠিকভাবে কাজ করা না যায় তাহলে প্রবল সমালোচনার ঝড় বয়ে যাবে। কোনও কিছুই ওই দুঃখজনক ঘটনাক সঙ্গে তুলনা করা যায় না।’ অপর একজন লেখেন, ‘গ্যাস চেম্বার? নাৎজি জার্মানি?’কিন্তু পরিচালকের কথায় এই প্রসঙ্গ টানার এক বিশেষ কারণ আছে যা ছবি দেখলেই দর্শক বুঝতে পারবেন।

(Feed Source: abplive.com)