২১শে জুলাই। শহিদ মিনারে মহা ধূমধাম। কিন্তু তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব আপাতত গরাদের আড়ালে। গত ২৩শে জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের এখন নতুন আইনজীবী শামসুদ্দিন সামস। তিনি কলকাতা নগর ও দায়রা আদালতে প্রথম সওয়ালেই দাবি করলেন, তাঁর মক্কেল পার্থ চট্টেপাধ্যায় পুরো নির্দোষ।
সূত্রের খবর আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৭ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তারপর প্রার্থী জামিন পান কিনা সেটাই এখন দেখার
এদিকে আইনজীবী জানিয়েছেন, ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তার পুরোটাই কাল্পনিক। আইনজীবী দাবি করেন, কোনও এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ কোটি পাওয়া গিয়েছে। সেসব পার্থ বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু গোটাটাই কাল্পনিক।
এদিন আইনজীবীর তরফে বার বার দাবি করা হয়েছে, যে সমস্ত কথা পার্থর বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে তা মন গড়া। অন্য জনের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হলে সেটা পার্থর বলে প্রমাণ করা যায় না। সেই সঙ্গেই আইনজীবী জানিয়েছেন, এফআইআরে পার্থর নাম নেই। উপযুক্ত প্রমাণও নেই। যা আছে তা আইনজীবীরাই উড়িয়ে দিতে পারেন।
সেই সঙ্গেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পার্থর বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার নিয়েও মুখ খুলেছেন তাঁর আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাঁর কাছে যেতেন। অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করার বিষয়টি কোন প্রামাণ্য নথি নয়। অনেকেই সই করার জন্য তাঁর কাছে যেতেন।
সেই সঙ্গেই পার্থর বাড়িতে রীতি না মেনেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী। তার মতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যখন তল্লাশি চালাতে যাওয়া হয়েছিল তখন তারা প্রথমে কোন নথি দেখায়নি। পরে দেখাচ্ছি দেখব দেখব নানা টালবাহানা শুরু করে। প্রায় ৩২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে।
এর পাশাপাশি পার্থর নতুন আইনজীবী সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, অন্যের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু পার্থর বাড়ি থেকে নগদ টাকা বা গয়না উদ্ধার হয়নি। সে ক্ষেত্রে তার মক্কেল পুরোপুরি নির্দোষ।
এদিকে তল্লাশির সময় যাদের আনা হয়েছিল তাদেরকে স্বতন্ত্র ব্যক্তি বলা যায় না বলেই মন্তব্য করেছেন আইনজীবী। কারণ তার মতে যে ব্যক্তিদের সেদিন আনা হয়েছিল তারা ব্যাংকে কর্মরত।
সব মিলিয়ে এবার মামলা কোনদিকে যায় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বঙ্গবাসী।
(Feed Source: hindustantimes.com)