এবার শিক্ষাক্ষেত্রে নয়া উদ্যোগ নিল শিক্ষা দফতর। সরকারি স্কুল থেকে কমে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী, কোথাও কারণ পরিকাঠামো, আবার কোথাও পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার ঘাটতি। তাই, শিক্ষায় বিনিময় প্রথা চালু করছে সরকার। এই প্রথার মাধ্যমে সরকার-পোষিত ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিকে বাঁচিয়ে তোলার প্রচেষ্টা শুরু করল শিক্ষা দফতর। যে স্কুলের যা খামতি, তা মিটিয়ে নিতে সাহায্য করবে তার পড়শি স্কুল। পড়শি স্কুলগুলো হয়ে ওঠবে একে-ওপরের পরিপূরক।
কী ভাবে হবে পড়াশোনার এই বিনিময় প্রথা? শিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, কোনও এলাকার ১০টি স্কুলকে নিয়ে একটি ‘ক্লাস্টার’ তৈরি করা হবে। তার মধ্যে যে স্কুলের পরিকাঠামো সব চেয়ে উন্নত, সেটিকে করা হবে প্রধান স্কুল। ধরা যাক, ওই ১০টির মধ্যে কোনও একটি স্কুলে হয়তো ইংরেজির শিক্ষক নেই। সেই ক্ষেত্রে অন্য স্কুলগুলির মধ্যে যেখানে ইংরেজির শিক্ষক রয়েছেন, সেখান থেকে এক শিক্ষক গিয়ে প্রথম স্কুলটিতে ইংরেজি পড়িয়ে আসবেন।
সেইরকম ভাবে ওই ১০টি স্কুলের মধ্যে যেখানে ইতিহাসের বা অঙ্কের শিক্ষক নেই, সেখানে ইতিহাস বা অঙ্কে পড়াতে যাবেন অন্য একটি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই ভাবেই একটি এলাকার স্কুলগুলি একে অপরের সঙ্গে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে নিজস্ব খামতি মেটানোর চেষ্টা করবে। বহু অভিভাবক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সরকারি স্কুল থেকে, ফুলে-ফেঁপে উঠেছে বেসরকারি স্কুলের দৌরাত্ম্য। সেই সময় দাঁড়িয়ে বিনিময় প্রথা কতটা কার্যকারী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে, পরিকাঠামোর উন্নতি না করে এই ভাবে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে স্কুলের খামতি মেটানো কতটা সম্ভব, সেই নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিক্ষক-অভিভাবকদের একাংশ।