নকশালবাড়িতে সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলার ‘শ্লীলতাহানি’

নকশালবাড়িতে সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলার ‘শ্লীলতাহানি’

সনৎ ঝা, দার্জিলিং :  নকশালবাড়িতে (Naxalbari) সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলার ‘শ্লীলতাহানি’। গ্রাম বিবাদে সালিশি সভায় মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এরকম হয়েছে, দেখিনি দাবি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রথমে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ। লিখিত অভিযোগ মিলেছে, তদন্ত চলছে, দাবি পুলিশ (Police) সূত্রে।

পরের দিন ফের সালিশি সভায় (Salishi Sabha) মারধর। মারতে মারতে জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ। থানায় অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। নকশালবাড়ি লোয়ার বাগডোগরা। প্রথম দিন থানা অভিযোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের (Congress) গ্রাম পঞ্চায়েত।

প্রসঙ্গত, চোর অপবাদে ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার ! বামনগোলায় এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য়বাসীকে। আরও নিন্দাজনক বিষয়, নির্যাতিতাদেরই গ্রেফতার করে পুলিশ। শেষমেষ গ্রেফতারির ৬ দিন পর, ২ নির্যাতিতাকে জামিন দিল মালদা জেলা আদালত।

মণিপুরে (Manipur Violence) দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় যখন গোটা দেশ উত্তাল। সর্বত্র নিন্দার ঝড়। তখনই বাংলার বুকে এমনই এক ভয়ানক নির্যাতনের অভিযোগ। আরও নিন্দাজনক বিষয় হল, যাঁরা নির্যাতিত হলেন, তাঁদেরই গ্রেফতার করে জেলে পুড়ল বামনগোলা থানার পুলিশ (Bamangola Police Station)। তবে, চুরির অপবাদে নয়, পুলিশ সূত্রে দাবি, ফাঁড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে।

পরিবারের দাবি, হাটে লেবু বিক্রি করতে গেছিলেন দুই মহিলা। অভিযোগ, তখনই অপর এক মহিলার টাকার ব্য়াগ চুরির অভিযোগে তাঁদের বিবস্ত্র করে ভয়ানক মারধর করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযোগে বলা হয়েছে, সোমবার নালাগোলা ফাঁড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ২ মহিলা। তাই, মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, পরিবার থেকে প্রতিবেশী, এমনকি হাটের অন্য়ান্য় বিক্রেতা, প্রত্য়েকেরই দাবি, ফাঁড়ি ভাঙচুরের দিন সকাল ৮ টায় ওই দুই মহিলাকে মথুরাপুর বাজারে দেখা গেছিল।

(Feed Source: abplive.com)