স্বমহিমায় বিরাজ করছে বর্ষা। এই আর্দ্র ঋতুতে নিজের ঘরে যতই ফ্যান বা কুলার চালানো হোক না কেন, শীতলতার অনুভূতি পাওয়া যায় না। বর্ষায় কুলার, ফ্যান ঠিকমতো কাজ করে না। তার কারণ আর্দ্রতা। এই পরিস্তিতিতে একমাত্র কাজ দিতে পারে এসি। এতে ঘরের আর্দ্রতা দূর করে শুষ্ক বাতাস ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এসি খুবই ব্যয়বহুল।
তাই বর্ষার আর্দ্রতা থেকে বাঁচতে বেছে নেওয়া যেতে পারে এমন একটি ডিভাইস যা পাঁচ থেকে ছ’হাজার টাকার মধ্যেই কিনে ফেলা যাবে। বলা যায় এসিকে জোর টক্কর দিতে পারে এই যন্ত্রটি, বিশেষত বর্ষাকালে। কথা হচ্ছে ডি-হিউমিডিফায়ারের। যার কাজই হল বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম করা।
Amazon-এ অনেক রকম ব্র্যান্ডের ডি-হিউমিডিফায়ার পাওয়া যায়। তবে তাদের মধ্যে Techzere Electric Dehumidfier খুবই কাজের।
Amazon-এ এটির দাম পড়বে ৬,০০০ টাকা। এটি একটি সাশ্রয়ী মূল্যের ডি-হিউমিডিফায়ার। এর সঙ্গে পাওয়া যাবে একটি জলের ট্যাঙ্ক, যার ধারণ ক্ষমতা প্রায় ১০০০ মিলিলিটার। একটি সাধারণ ছোট ঘরের জন্য এটি হতে পারে সেরা ডিভাইস।
ঘরের আর্দ্রতা কমায়—
এটি ডিভাইসটি ৪৫W শক্তি সম্পন্ন। একদিনে বাতাস থেকে প্রায় ৩৫০ মিলিলিটার পর্যন্ত জল শোষণ করে নিতে পারে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে বিশেষত অতি আর্দ্র আবহাওয়ার জন্যই এই ডিভাইসটি তৈরি করা হয়েছে। এটি ঘরের আর্দ্রতা কমাতে সাহায্য করে।
ঘরের আর্দ্রতা কমে গেলেই খানিটা শীতল ভাব আসতে পারে। আসলে বর্ষায় তাপমাত্রা খুব কম যেমন থাকে না, তেমন খুব বেশিও থাকে না। তবে যেটি সমস্যা তৈরি করে সেটি হল, আর্দ্রতা। ঘর্মাক্ত আবহাওয়া অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। তাই এই বর্ষায় এসি কিনতে না চাইলে, মাত্র ৬,০০০ টাকার খরচ করে কিনে নেওয়া যেতে পারে এই ডিভাইসটি। এটি দেখতে অনেকটা ওয়াটার পিউরিফায়ারের মতো, তবে আকারে কিছুটা ছোট। এর ওজন ১ কেজি ৬৩০ গ্রাম। এর চারদিকে রয়েছে সুন্দর ৭টি আলোও। প্রয়োজন না হলে সেই আলো বন্ধ করা যেতে পারে।