রাহুল না তিনি, কে বেশি দুষ্টু ? মুখ খুললেন প্রিয়ঙ্কা, সমর্থকদের পাত্রী দেখতে বললেন সনিয়া

রাহুল না তিনি, কে বেশি দুষ্টু ? মুখ খুললেন প্রিয়ঙ্কা, সমর্থকদের পাত্রী দেখতে বললেন সনিয়া

নয়াদিল্লি : কেন বিয়ে করছেন না রাহুল গাঁধী ? প্রিয়ঙ্কা না রাহুল, কে বেশি দুষ্টু ? এমনই মজার প্রশ্ন ছুটে গেল তাঁদের দিকে। হাসির ছলে কোনও ক্ষেত্রে রাহুলের জন্য সমর্থকদের মেয়ে দেখার বার্তা দিলেন সনিয়া। আবার ছোটবেলা থেকে ভাই-বোনের দুষ্টু-মিষ্টি সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে খোলামেলা আড্ডায় মাতলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী (Priyanka Gandhi)। হরিয়ানার একদল মহিলা রাজধানীতে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী ও সাংসদ সনিয়া গাঁধীর (Sania Gandhi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাও হাজির ছিলেন যে আলাপচারিতায়। কংগ্রেসের গাঁধী পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ পেয়ে মহিলারা ছুঁড়ে দিয়েছিলেন মজার সব প্রশ্ন।

ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হলেও বিভিন্ন বর্গের মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কাজ জারি রেখেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi) আলাপচারিতার ভিডিও-ছবি সামনে এসেছে। সেরকমই কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের এক বিশেষ লাঞ্চে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। যেখানে রাজীব গাঁধীর মৃত্যুর পর দুই সন্তানকে নিয়ে কঠিন সময় কীভাবে তিনি পেরিয়েছিলেন, ছোটবেলায় সন্তানদের কী রান্না করে খাওয়াতেন, এই ধরণের প্রশ্নও ছুটে যায় সনিয়া গান্ধীর দিকে। সেখানেই উঠে আসে রাহুলের বিয়ের প্রসঙ্গ। এক মহিলা সরাসরি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রীকে প্রশ্ন করেন, কেন ছেলের বিয়ে দিচ্ছেন না। যে প্রশ্নের উত্তরে সনিয়া সরাসরি তাঁকে বলেন, আপনি মেয়ে দেখে দিন না।

কিছুদিন আগেই বিজেপি বিরোধী জোটের পাটনাতে প্রথম বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনের মাঝে লালুপ্রসাদ যাদব রাহুলকে সবার সামনেই বিয়ে করার কথা বলেছিলেন। তাঁর প্রস্তাব শুনে যখন হাসির রোল, তখনই প্রবীন রাজনৈতিক জানিয়েছিলেন, সনিয়া গাঁধী তাঁকে পাত্রী দেখার কথা বলেছেন। সেই ঘটনাই যেন জনৈক কংগ্রেস সমর্থকের প্রশ্নের উত্তরে পাওয়া গেল সনিয়ার থেকে।

পাশাপাশি অন্য একজন প্রিয়ঙ্কাকে প্রশ্ন করেন তিনি না রাহুল, কে বেশি দুষ্টু। যে প্রশ্নের উত্তরে হাসিমুখে প্রিয়ঙ্কা বলেন, দেখে খুবই মিষ্টি মনে হতে পারে, রাহুল আমার থেকে অনেক বেশি দুষ্টু ছোটবেলা থেকেই। ভাই-বোনের যখন ঝামেলা হত তখন সবাই ভাবত আমি ওকে মারধর করেছি, কিন্তু আমাকেই বেশি মার খেতে হয়েছে। টেবিলের উল্টোপ্রান্তে বসে যে কথা শুনে তখন রাহুলের মুখে হাসি।

সবমিলিয়ে জনসংযোগের মাধ্যমে যে পথ চলা শুরু করেছে কংগ্রেস, তার ডিভিডেন্ট আগামী লোকসভা ভোটের ইভিএমে কতটা পড়ে এখন সেটাই দেখার।

(Feed Source: abplive.com)