‘মানসিক নির্যাতন করা হয়েছিল’,জয়পুর-মুম্বই এক্সপ্রেস কাণ্ডে অভিযোগ অভিযুক্তর

‘মানসিক নির্যাতন করা হয়েছিল’,জয়পুর-মুম্বই এক্সপ্রেস কাণ্ডে অভিযোগ অভিযুক্তর

মুম্বই: সোমবার জয়পুর-মুম্বই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর এক ঘটনা। ট্রেনে টহল দেওয়ার সময় নিজের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে চার জনকে হত্যা করেন আরপিএফ কর্মী চেতন কুমার। গুলি করেন তাঁর সঙ্গে সেই সময় ডিউটিতে থাকা সাব- ইন্সপেক্টর টিকা রাম মীনা ও ৩ যাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছিল দাহিসার ও মীরা রোড স্টেশনের মধ্যিখানে, জয়পুর-মুম্বই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের বি৫ নম্বর কোচে।

ঘটনার পর বোরিভালি জিআরপি-তে অভিযুক্তর নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় চেতন কুমারকে। বিবৃতিতে পশ্চিম রেল-এর তরফে জানানো হয়েছে, জয়পুর-মুম্বই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের বি৫ নম্বর কোচে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন অভিযুক্ত চেতন কুমার। গুলি চালিয়ে সহকর্মী এএসআই টিকা রাম ও ৩ যাত্রীকে খুন করেন তিনি। ঘটনার পরই পালঘরের পরের স্টেশন দাহিসারে চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটিও।

পশ্চিম রেলের পুলিশ কমিশনার জানান, ” অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মী চেতন কুমার সুস্থ বোধ করছিলেন না। ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। অভিযুক্ত ও মৃতদের মধ্যে কোনও তর্কাতর্কি হয়নি। যদিও উত্তর প্রদেশের হাথরসের বাসিন্দা চেতন মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোমবার ভোর ৫টা ২৩ মিনিটে রাজস্থানের জয়পুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের উদ্দেশে যাওয়া জয়পুর এক্সপ্রেসে টহল দেওয়ার সময় নিজের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই চলন্ত ট্রেনে চার জনকে হত্যা করেন আরপিএফ কর্মী চেতন। রেলের তরফে জানা গিয়েছে, ট্রেনটি যখন পালঘর স্টেশন দিয়ে যাচ্ছিল, সে সময় হঠাৎই বন্দুক থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন ওই পুলিশকর্মী। তিনি ব্যবহার করছিলেন একেএম, এটি একে ৪৭-এর উন্নত মডেল।

(Feed Source: news18.com)