এসি কোচেও মশা! ডেঙ্গি রোধে আগেভাগেই সতর্ক মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ, একগুচ্ছ নির্দেশ 

এসি কোচেও মশা! ডেঙ্গি রোধে আগেভাগেই সতর্ক মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ, একগুচ্ছ নির্দেশ 

কলকাতা: মেট্রোর এসি কোচেও মশা! এমনিতেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে আতঙ্কিত কলকাতার মানুষ৷ এই পরিস্থিতিতে শহরের লাইফলাইন মেট্রোর ভিতরেও যদি এডিস মশা ঘুরে বেড়ায়, তাহলে তো কথাই নেই৷ তার উপর বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্প সংলগ্ন এলাকায়, কারশেডের বিভিন্ন জায়গা বর্ষার মরসুমে রীতিমতো আঁতুরঘরে পরিণত হয় মশাদের৷ তাই বিষয়টা যে শুধু যাত্রীদের একাংশের মাথায় এসেছে, তা-ই নয়, এসেছে মেট্রোকর্তাদের মনেও। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৬ লক্ষ যাত্রী মেট্রোয় যাতায়াত করেন৷ তাই তাঁদের নিরাপত্তায় এবার মশা নিয়ে অতিরিক্ত সতর্ক হচ্ছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ৷

মেট্রো কর্তারা জানাচ্ছেন, টানেলে থাকা ড্রেন এবং রেলের ট্র‌্যাকে মশার লার্ভা জন্মানো আটকাতে সপ্তাহে একদিন করে ‘লার্ভিসাইড’ স্প্রে করা হচ্ছে। প্রতি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রতি জেনারেল ম্যানেজার নির্দেশ দিয়েছেন, সেন্ট্রাল ড্রেনে যাতে কিছুতেই জল না জমে। সে জন্য প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ চালাতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে রেক থেকে কারশেড।

স্টেশন চত্বর তো বটেই, মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গে দৈনিক পরিষেবা বন্ধের পরে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে বলে নির্দেশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। একই সঙ্গে প্রতিটি এলিভেটেড স্টেশন ও ভায়াডাক্টেও নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন জিএম। প্রতিটা রেনওয়াটার পাইপ থেকে যথাযথ জল বার হচ্ছে কি না, বেরিয়ে আসা জল কোথাও জমে থাকছে কি না, এই সব বিষয়েও নিয়মিত নজর রাখতে হবে।

মেট্রোকর্মীদের কোয়ার্টার এবং নোয়াপাড়া, কবি সুভাষ, সেন্ট্রাল পার্ক এবং জোকা ডিপোতেও কীটনাশক ছড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। বাদ যায়নি মেট্রোরেল ভবন, আরপিএফ ব্যারাক এবং মেট্রোর অন্য দফতরগুলিও। আধো অন্ধকার সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে বিস্তৃত কলকাতা মেট্রোর সেন্ট্রাল ড্রেন যে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির মশার আদর্শ আঁতুরঘর হতে পারে, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই যুদ্ধের পরিকল্পনা করেছেন মেট্রোর কর্তারা।

প্রতি কোচে বারবার রাসায়নিক স্প্রে করা হচ্ছে। যাকে বলা হয় ‘অ্যান্টি অ্যাডাল্ট মসকিউটো’। নোয়াপাড়া এবং কবি সুভাষ কারশেডে জমা জলে বা ড্রেনে যাতে মশার লার্ভা না জন্মায়, সে কারণে নিয়মিত ফগিং হচ্ছে। তাছাড়া কর্মীদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রেক যেমন পরিষ্কার রাখতে হবে, তেমনই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেখানে রেক থাকে, সেই কারশেডও।

ট্রেন ধোয়ার জন্য জল জমিয়ে রাখা যাবে না ড্রামে। নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে দুই লাইনের মাঝে থাকা ড্রেনও। কারণ, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির মশা জন্মায় জমা জলেই। আর সুড়ঙ্গে থাকা ড্রেন এবং ট্র‌্যাকে জল জমে থাকে। তাই তা নিয়মিত পরিষ্কার করার দাওয়াই দেওয়া হয়েছে। কারশেডে নিয়মিত ‘ওয়েট ওয়াশ’ ও করানো হচ্ছে।

আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, নোয়াপাড়া কারশেডে মাঝেমধ্যেই সারপ্রাইজ ভিজিট করছে মেট্রোর মেডিক্যাল টিম। কোথাও কোনওরকম জল জমে থাকছে কি না, তা দেখে আসছেন তাঁরা। দেখা হচ্ছে পোকামাকড় মারার বিভিন্ন ওষুধ জায়গা মতো দেওয়া হচ্ছে কি না! তাছাড়া কারশেডে ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডারও।

(Feed Source: news18.com)