আমার অবদান শূন্য, এই ‘ডোলা রে ডোলা’ আমি খুব একটা ভালো করতে পারিনি: প্রীতম

আমার অবদান শূন্য, এই ‘ডোলা রে ডোলা’ আমি খুব একটা ভালো করতে পারিনি: প্রীতম

পিতৃতন্ত্রের উপর আঘাত, লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় করণ জোহরের ছবি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’। আলোচনায় উঠে এসেছে ছবি ‘ডোলা রে ডোলা রে’ গানটি। ছবিতে যে গানে নেচেছেন রণবীর সিং ও টোটা রায় চৌধুরী। করণের ছবির জন্য নতুন করে ‘ডোলা রে’ গানটি সাজিয়েছেন সঙ্গীত পরিচালক প্রীতম। RRKPK -এর এই গান নিয়ে যখন এত্ত আলোচনা চলছে, তখন এই গান নিয়ে সঙ্গীত পরিচালক বলছেন তিনি এই গানটি বিশেষ ভালো বানাতে পারেননি।

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। সকলেই যখন ‘ডোলা রে’ গানের প্রশংসা করেছে তখন প্রীতম নিজেই বলছেন ভালো হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমসকে প্রীতম বলেন, ‘আমি সততার সঙ্গেই বলছি, আমার মনে হয় আমি এই গানটাতে খুব একটা ভালো কাজ করতে পারিনি। এই সেই একই বীট, কিন্তু এবার এই গানটি গেয়েছেন দুই পুরুষ গায়ক। এই গানটি সফল হওয়ার আসল অবদান রণবীর সিং এবং টোটা রায় চৌধুরীর। আর জয়া বচ্চন, রণবীর টোটার পারফরম্যান্স দেখে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। আমার অবদান এখানে শূন্য, নেতিবাচক, আসলে আসল ডোলা রে ডোলা অনেক ভালো।’

সাক্ষাৎকারে করণ জোহর যে তাঁর এই ছবিতে বহু কিংবদন্তি পরিচালককে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, সেবিষয়টি নিয়েও কথা বলেন প্রীতম। তাঁর কথায়, ‘আসলে এই পুরো ছবিটিই একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। করণ যখন চিত্রনাট্য শুনিয়েছিলেন, তখন মেডলে ‘আভি না যাও ছোড় কার’, ’আজ ফির জিনে কি তামান্না হ্যায়’, ‘আপ জাইসা কোই’ এবং ‘আজা মেরি গাদি মে বেঠ জা’ ইতিমধ্যেই চিত্রনাট্যে ছিল। ছবিটি আমার কাছে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের জন্য এসেছিল, তখন আমি স্বাভাবিক পথে না হাঁটারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যেহেতু এই ছবিতে ইতিমধ্যেই একটি রেট্রো ফ্লেভার ছিল, তাই আমি সেভাবেই সাউন্ডস্কেপ তৈরি করতে চেয়েছিলাম। আমি বিপরীতমুখী সঙ্গীত থেকে বেশকিছু বিষয় নিয়েছি। উদাহরণস্বরূপ, রানির ভূমিকায় একটি বাংলা র‍্যাপ তবে সমস্ত স্ট্রিং অংশগুলি ‘লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলালের মেরা নাম থেকে’ এবং ‘রানি’ বিটটি মেরে ‘স্বপ্নো কি রানি’ থেকে। রকির সঙ্গে ইন্ট্রো গানটি নেওয়া হয়েছে ‘মস্ত বাহারোঁ কা মে আশিক’ থেকে। যখনই রকি কিছু করেন, তখনই ‘হু হু’ শব্দ হয়, সেটা সোমেনের থিম ‘মেরি পেয়ারি বিন্দু’ থেকে।

(Feed Source: hindustantimes.com)