ডিপ্রেশন কাটিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন বাইলসের, ৭৩২ দিন পর ফিরেই জিতলেন টুর্নামেন্ট

ডিপ্রেশন কাটিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন বাইলসের, ৭৩২ দিন পর ফিরেই জিতলেন টুর্নামেন্ট

শুভব্রত মুখার্জি: ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিক্সের ফ্লোরকে মাতিয়ে দিয়েছিলেন আমেরিকার এক তরুণী জিমন্যাস্ট সিমোনে বাইলস। তাঁর কাছে হেরেই সেবার অলিম্পিক্সের পদকজয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছিল ভারতের অন্যতম সেরা জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের। এরপর মানসিক চাপের কারণে দীর্ঘদিন জিমন্যাস্টিক্সের ফ্লোর থেকে দূরে সরেছিলেন সিমোনে বাইলস। পাক্কা ৭৩২ দিন বাদে ফের জিমন্যাস্টিক্সের ফ্লোরে ফিরলেন তিনি। আর দুই বছর বাদে ফ্লোরে ফিরেই একেবারে বাজিমাত করলেন তিনি।জিতে নিলেন ইউএস ক্লাসিক জিমন্যাস্টিক্সের খেতাব।

এদিন বিচারকদের স্যালুট করার পর যখন ফ্লোরে নামলেন তাঁকে দেখে বোঝার কোনও উপায় ছিল না যে তিনি দুটি বছর দূরে ছিলেন খেলা‌ থেকে। টোকিও অলিম্পিক্স গেমস চলাকালীন এই মানসিক চাপের কথা জানিয়েছিলেন বাইলস।সেই সময়ে ভেঙে পড়তেও দেখা যায় তাঁকে। আর দীর্ঘ দুই বছর পর যখন এদিন এনওডব্লুউ এরিনাতে লড়াইয়ে নামলেন তিনি তখন তাঁর লক্ষ্য ছিল একটাই। শিরোপা জয়। তাঁর লড়াকু মেজাজের এদিন ফের সাক্ষী থাকল স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক। বাইলসের পারফরম্যান্স দেখতে এদিন কানায় টানায় পূর্ণ ছিল এরিনা। ২৬ বছর বয়সী বাইলস এদিন সাদা এবং কালো লিওটার্ড পরে মাতালেন গোটা এরিনাকে।

এদিন রাতে তাঁর অলরাউন্ড স্কোর ছিল ৫৯.১০০। যা পিছনে ফেলে দেয় বাকি প্রতিযোগিদের। কয়েকমাস আগেই তাঁর বিয়ে ও হয়েছে। এনএফএল ডিফেন্সিভ ব্যাক জোনাথন ওয়েন্সকে বিয়ে করেছেন তিনি। তারপরেই এপ্রিলে অনুশীলন শুরু করেন তিনি।আর তার কয়েক মাসের মধ্যেই এমন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করে খেতাব জিতে নিলেন বাইলস। ‘দ্য টুইসটিস’ থেকে বেরতে যে কঠিন‌ লড়াই চালিয়েছেন বাইলস এদিন তাঁর পারফরম্যান্সে কোনও কিছুই প্রভাব ফেলতে পারেনি। প্রসঙ্গত আমেরিকাতে মানসিক প্রতিবন্ধকতাকে খারাপভাবে এটাই বলা হয় ‘দ্য টুইসটিস’।

এদিন ২৩১ নম্বর জার্সি পড়ে ,গলায় ‘ওয়েন্স'(স্বামীর নাম) লেখা নেকলেস পরে জিমন্যাস্টিক্সের ফ্লোর মাতাতে দেখা যায় তাঁকে। এদিন ‘আনইভেন বার’ দিয়ে তাঁর রুটিন শুরু করেছিলেন বাইলস। এরপর ফ্লোর রুটিনে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন তিনি। ২০২৪ সালেই রয়েছে প্যারিস অলিম্পিক।তার আগেই বাইলসের এই পারফরম্যান্সে নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখছেন আমেরিকার ক্রীড়াপ্রেমীরা।

(Feed Source: abplive.com)