সড়ক দুর্ঘটনা কলকাতা
– ছবি: এজেন্সি
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার কে বেহালায় একটি স্কুলের কাছে শুক্রবার সকালে ট্রাক দুর্ঘটনায় এক ছাত্র নিহত এবং তার বাবা গুরুতর আহত হয়েছেন। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়ি ও সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এতে চার পুলিশসহ আটজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিষ্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে বেহালায় একটি ট্রাকের ধাক্কায় বড়িশা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সরনীল সরকার। ছাত্রীর বাবাও গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পাশাপাশি বড়িশা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (সিপি) বিনীত গোয়েলও। তিনি বলেন, যা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সকালে একটি মাটিচালিত ট্রাকের ধাক্কায় স্কুলছাত্র ও তার বাবা আহত হন। এতে ছাত্রের মৃত্যু হয়, বাবা গুরুতর আহত হন। এরপরই ডায়মন্ড হারবার রোডে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন। বেহালা চৌরাস্তার কাছে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি সরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছনো পুলিশের ওপর জনগণের ক্ষোভ দেখা দেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বহু সরকারি বাসও ভাঙচুর করেছে জনতা। ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। স্থানীয় লোকজন লাশ সড়কে রেখে বিক্ষোভ করে।
সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ আটজন আহত হয়েছেন। জয়েন্ট কমিশনার ট্রাফিক রূপেশ কুমারও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এদিকে বেহালা মামলার রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
(Feed Source: amarujala.com)