এই আক্রমণের জবাবে উত্তর দিতে উঠে নাম না করে রাহুলকে আক্রমণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জবাবি ভাষণে শাহ বলেন, “এই হাউসে একজন সাংসদ আছেন যাকে রাজনীতিতে ১৩ বার নামানো হয়েছে। ১৩ বারই তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। সেরকম এক শুরুর সাক্ষী ছিলাম আমি, যখন তিনি বুন্দেলখণ্ডে কলাবতী নামে এক গরিব মহিলার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, আপনি তাঁর জন্য কী করেছিলেন ? তাঁকে বাড়ি, রেশন, বিদ্যুতের জোগানও দিয়েছিল মোদি সরকার।”
শুধু তা-ই নয়, একাধিক ইস্যু তুলে কংগ্রেস ও ইউপিএকে নিশানা করেন শাহ। তিনি বলেন, “ইউপিএ জমানার কলঙ্কজনক অধ্যায় দেখেছে গোটা দেশ। ইউপিএ-র চরিত্রটাই দুর্নীতিতে ভরা, এনডিএ সিদ্ধান্তের রাজনীতি করে। মোদি সরকারের ওপর দেশবাসীর অগাধ আস্থা আছে। ইউপিএ জমানার দুর্নীতি সবাই দেখেছে। অনাস্থা ঠেকাতেও নরসিংহ রাওয়ের সময় দুর্নীতি হয়েছিল। নরসিংহ রাওয়ের সময় অনাস্থা ঠেকাতে ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময় অনাস্থায় ১ ভোটে হেরে গিয়েছিল সরকার। কিন্তু অটলবিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন, আমরা সংসদের আদেশ মেনে নেব।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে মণিপুর প্রসঙ্গও। “মণিপুরে হিংসার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, সরকার কোনওভাবেই সমর্থন করে না। দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করাটা আরও লজ্জার।” বিরোধীদের নিশানা করে বলেন শাহ। সেই সময় সংসদে ফের সরব হন অধীর চৌধুরী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন এখনও মণিপুরে যাননি প্রধানমন্ত্রী ?’ পাল্টা শাহের জবাব, “প্রথম থেকেই বলে আসছি, আমরা মণিপুর ইস্যুতে আলোচনায় রাজি। চিৎকার করে আমাকে চুপ করানো যাবে না।” তিনি বলেন, ‘মণিপুরের বর্তমান হিংসার কথা বলতে গেলে পুরনো হিংসার কথাও বলতে হবে। মণিপুরে বিজেপি সরকারের আমলে একদিনও সেখানে কারফিউ জারি করতে হয়নি। মায়ানমার সীমান্তে কাঁটাতার নেই, সেজন্য অনুপ্রবেশের সমস্যা আছে। গুজব থেকেই মণিপুরে হিংসার সূত্রপাত।
মাদক চোরাচালানেরও যোগ রয়েছে। অথচ শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর জবাব চেয়ে সংসদের অধিবেশন অচল করেছে বিরোধীরা। মণিপুর নিয়ে কোনও কিছুই লুকোনোর নেই।”
(Feed Source: abplive.com)