পাকিস্তানের ‘কেয়ারটেকার প্রাইম মিনিস্টার’ হতে চলেছেন জলিল আব্বাস জিলানি! কে এই ব্যক্তি?

পাকিস্তানের ‘কেয়ারটেকার প্রাইম মিনিস্টার’ হতে চলেছেন জলিল আব্বাস জিলানি! কে এই ব্যক্তি?
Jalil Abbas Jilani: কে হবেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী? এই জল্পনার মধ্যেই উঠে এসেছে একটি নাম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ ৯ অগস্ট ইস্তফা দিতে পারেন বর্তমান পাক-প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এর মধ্যেই শোনা গিয়েছে একটি নাম জলিল আব্বাস জিলানি। পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি, এমনটাই দাবি করেছেন পাকিস্তানের এক প্রাক্তন কূটনীতিক। পাকিস্তানের প্রাক্তন কূটনীতিক আব্দুল বসিট সম্প্রতি ট্যুইটারে দাবি করেছেন, জলিল আব্বাস জিলানি পাকিস্তানের ‘কেয়ারটেকার প্রাইম মিনিস্টার’ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জিলানিকে অভিবাদনও জানিয়েছেন প্রাক্তন পাক-কূটনীতিক। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার ৯ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বাসভবনেও হাজির হয়েছিলেন জিলাল আব্বাস জিলানি। জানা গিয়েছে, ‘কেয়ারটেকার প্রাইম মিনিস্টার’ নিয়োগ করা হবে বর্তমান পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং বিরোধী পক্ষের নেতা রাজা রিয়াজের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে। শোনা যাচ্ছে, বুধবার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন পাক-প্রেসিডেন্ট।

পাকিস্তান জাতীয় অ্যাসেম্বলিতে নিম্নকক্ষের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১২ অগাস্ট। তার আগে ৯ অগাস্টই সরকার ভেঙে দিচ্ছেন শেহবাজ। সেই মর্মে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে প্রতিনিধি পাঠাবেন তিনি। প্রেসিডেন্ট আলভি ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রাক্তন সদস্য। তিনি সরকার ভাঙার প্রস্তাবে রাজি না হলে, সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ মেনে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেহবাজ আজই (বুধবার ৯ অগস্ট) ইস্তফা দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাওয়ালপিণ্ডিতে পাক সেনার সদর দফতরে গিয়েও বিদায়ী বার্তা দিয়ে এসেছেন। সেখানে প্রয়াত দেশনায়কদের শ্রদ্ধাও জানান তিনি।

কে এই জলিল আব্বাস জিলানি

পাকিস্তানের বিদেশ সচিব হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন জলিল আব্বাস জিলানি। তার আগে পাক-দূত হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ একাধিক দেশে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নে তিনি ছিলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানি হাই-কমিশনার এবং ভারতে পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জলিল আব্বাস জিলানি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক এই ব্যক্তি স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা করেছেন Defense and Strategic Studies- এই বিভাগে। সরকারি দায়িত্ব থেকে অবসর নেওয়ার পর পাক বায়ু সেনাবাহিনীর থিঙ্কট্যাঙ্ক সেন্টার ফর এরোস্পেস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজে কর্মরত ছিলেন।

(Feed Source: abplive.com)