কলকাতা: দিল্লি থেকে শহরে ফিরলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। শুক্রবার দুপুরের বিমানে তিনি দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছন। কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, ‘খুবই অন্যায় হয়েছে। এমন কোনও মন্তব্য উনি করেননি, যার জন্য সাসপেন্ড হতে হবে’।
বলাবাহুল্য, সরকারের বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কে বুধ এবং বৃহস্পতিবার উঠে এসেছে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীরের নাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিয়েছেন অধীরকে। বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির শেষে অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ তুলে অধীরের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী। বিরোধীশূন্য লোকসভায় সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে অধীরকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা।
জেপি নাড্ডার বঙ্গ সফর প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, ‘কোনও গুরুত্ব দিচ্ছি না। পঞ্চায়েত হয়ে গেল, জেপি নাড্ডার পার্টি সব জায়গায় হেরেছে। এখন তিন দিন সময় নষ্ট করে কি লাভ!’
পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘না হলেই ভাল হতো। তবে হচ্ছে। এখন সব জায়গায় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দল এটা চায় না, তবে নিচু তলার লোকেরা এটা করে ফেলছে’।
অধীর চৌধুরীর সাসপেনশন প্রসঙ্গে সৌগত রায় এও বললেন, ‘ খুবই অন্যায় ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অধীরবাবু এমন কিছু বলেননি যাতে ওকে সাসপেন্ড করা যায়। প্রধানমন্ত্রী সম্বন্ধে কিছু ক্রিটিকাল কথা বলেছিল প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই, তাই প্রধানমন্ত্রী রাগ করে উঠে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ইগোকে সন্তুষ্ট করতেই অধীরের সঙ্গে এটা করা হয়েছে। আমরা এটাকে কিছুতেই সমর্থন করি না। হাউজের মধ্যে লোকে যদি স্বাধীনভাবে কথা বলতে না পারে তাহলে গণতন্ত্র থাকবে কী করে?” এই প্রশ্ন তুলে সৌগত রায়ের কথায়,’ আগের দিন রাহুলের বক্তৃতার বেশ কিছু জায়গা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটাও ভুল হয়েছে। অন্যায় হচ্ছ। এতে সংসদীয় গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে’।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন,’ খুবই দুঃখজনক ঘটনা। র্যাগিংটাই খুব ঘৃণ্য কাজ। যাদবপুরে কিছু ছেলে উগ্র বামপন্থী আন্দোলনও করে আবার কিছু ছেলে র্যাগিংও করে। এটা একেবারেই কাম্য নয়।’