শুক্রবার ১১ অগস্ট মুক্তি পেয়েছে দেবের ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য’। প্রথম থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই ছবি। চলতি বছরের পয়লা বৈশাখের দিনই প্রথম যখন দেব ব্যোমকেশ হওয়ার ঘোষণা করেন, তখন মানতে পারছিলেন না অনেকেই। এরপর সত্যবতী হিসেবে রুক্মিণী মৈত্র ও অজিত হিসেবে অম্বরীশ ভট্টাচার্যের নাম নিয়েও ওঠে বিতর্কের ঝড়। তবে নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে বেশ হিট ছবির ট্রেলার। এখন পালা ভাগ্য নির্ধারণের।
শুক্রবার সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়ার ছবি ভাগ করে নিতে দেখা গেল দেবকে। সিনেমা হলে আসার আগে ঠাকুর দর্শনের রীতি বহু পুরনো। তা মেনেই তৃণমূলের তারকা সাংসদ গেলেন কালী মন্দিরে। নীল রঙের পঞ্জাবি, হাতে পুজোর ডালা। কপালে সিঁদুরের টিপ। একেবারে গর্ভগৃহে, ঠাকুরের সিংহাসনের পাশে দাঁড়িয়েই ছবি তুললেন দেব। পরের ছবিতে তাঁকে দেখা গেল শিবলিঙ্গে জল ঢালতে। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘সবার ভালো হোক #harharbyomkesh।’
তবে দেবের এই পোস্ট নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করেছে। কারণ দক্ষিণেশ্বরের গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি নেই সাধারণ মানুষের। বাইরে দাঁড়িয়েই ঠাকুর দর্শন করেন আট থেকে আশি। ঠাকুরমশাইদের হাতে তুলে দেন পুজোর ডালা। কমেন্ট সেকশনে একজন লিখলেন, ‘তারকা বলেই ভিতরে ঢুকে ঠাকুরের সঙ্গে ফোটো তুলেছে। আর সাধারণ মানুষকে একটু ভালো করে ঠাকুর দর্শণেরও সুযোগ দেয় না কতৃপক্ষরা।’
অপরজন লিখলেন, ‘তারকাদের জন্য সব ছাড়। এদিকে সাধারণ মানুষরা মোবাইলই ভিতরে নিয়ে যেতে পারে না। ফটো তোলা তো ছাড়।’ তবে এসব বিতর্কেক দূরে রেখে দেবের ভক্তরাও কিন্তু মনেপ্রাণে প্রার্থণা করলেন যেন বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখে ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য।
বক্স অফিসে সাফল্য পাওয়া খুব একটা সহজ হবে না দেবের জন্য। কারণ টলিউডে মুক্তি পেয়েছে চিনি ২ ছবিটি। সঙ্গে বলিউডের গদর ২ আর ওএমজি ২-এর সঙ্গেও টক্কর হবে ব্যোমকেশের। রয়েছে রজনীকান্তের জেলার ছবিটিও। তবে দেবের শেষ দুটি ছবি প্রজাপতি আর টনিক যে খেল দেখিয়েছে বক্স অফিসে, তাতে আশা ছাড়তে রাজি নয় তাঁর অনুরাগীরা।
চলতি বছরে আরও দুটি ছবি আসার কথা রয়েছে দেবের। পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে বাঘাযতীন। আর শীতের ছুটিতে আসবে প্রধান। অর্থাৎ, ২০২৩ সালে টলিউড বক্সঅফিসে দেবেরই রমরমা বাজার।
(Feed Source: hindustantimes.com)