‘পঞ্চায়েত ভোটে রক্ত নিয়ে খেলেছে তৃণমূল,’ রাজ্যের শাসকদলকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

‘পঞ্চায়েত ভোটে রক্ত নিয়ে খেলেছে তৃণমূল,’ রাজ্যের শাসকদলকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

কলকাতা: ৭ টি রাজ্যের জেলা পরিষদের ১৩৪ জন সভাধিপতি ও সহ-সভাপতিদের নিয়ে দুদিনের পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন শুরু হল হাওড়া জেলার বাগনানের নাউপালায়। এই কার্যক্রম শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বক্তব্য দিয়ে। তাঁর বক্তব্যে প্রতিফলিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সংক্রান্ত নানা বিষয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে উঠে আসে, মনোনয়ন থেকে ভোটদান, সর্বত্রই হিংসা হয়েছে বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে। তিনি বলেন, “ব্যালট বাক্স নিয়ে চম্পট দেয় তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়। পঞ্চায়েত ভোটে বাংলার ভোটারদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। রক্ত নিয়ে খেলেছে তৃণমূল। বাদ পড়েনি BJP নেতা-কর্মী, প্রার্থী এবং তাঁদের আত্মীয়রাও।”

তিনি বলেন, “ভোট এলেই দেখা যায় বাংলার শাসকদলের তোলাবাজরা ছাপ্পাবাজে পরিণত হয়েছে। বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন রুখতে সবরকম হিংসা চালিয়েছে তৃণমূল। গুণ্ডাদের বরাত দিয়েছে তৃণমূল। এরাই আবার নিজেদের গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন বলে দাবি করে। এত কিছুর পরও BJP প্রার্থীরা জিতেছেন। ভোট এলেই দেখা যায় বাংলার শাসকদলের তোলাবাজরা ছাপ্পাবাজে পরিণত হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৃণমূলের প্রথম কৌশলই হল নির্বাচনের জন্য সময় না দেওয়া। এত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে যে প্রস্তুতি, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগই মিলবে না। বিজেপি বা কোনও বিরোধী দলকে মনোনয়ন পত্র জমা না দিতে পারেন, তার জন্য সবরকমের চেষ্টা চালানো হয়।

জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ রাজ্যের ক্যাবিনেটের থেকেও বেশি ক্ষমতা রাখেন, অনেক কাজ করতে পারেন। বিজেপির কার্যকর্তা হিসাবে আপনারাও জেলায় জেলায় নিজের কাজ, ভাল ব্যবহার দিয়ে আপনারা সাধারণ মানুষের মন জিতছেন। সেই কারণে মানুষও আপনাদের উপরে বারংবার আস্থা প্রকাশ করছে। প্রয়োজন পড়লে বিজেপির কর্মীরা নিজেদের রক্ত দিয়ে লড়াই করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “বিজেপি কর্মীরা, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীরা যেভাবে ভারতমাতার জন্য, রাজ্যের উন্নতির জন্য সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছেন, তা এক প্রকারের সাধনা। নিজেদের তিলে তিলে জ্বালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হারানো গৌরব ফেরানোর চেষ্টা করছেন। গত ৫০ বছরে আমরা শুধু স্লোগান শুনেছি গরিবী হাটাও। যারা স্লোগান দিয়েছে তারা কোনদিন গরিবি উপলব্ধি করেনি। যা বিগত ৫ দশকে সম্ভব হয়নি, তা এত দ্রুত কীভাবে করল বিজেপি সরকার? গরিবির মূল কারণ গুলি নির্মূল করা হয়েছে।” বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের সামনে আনা হয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের এমন কিছু বিষয়।

(Feed Source: news18.com)