বেজিং: চিনের উত্তরাঞ্চলীয় অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ায় বুবোনিক প্লেগের (bubonic plague) আরও দুটি কেস সামনে এসেছে৷ এরপরেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে। চিন সরকার জানিয়েছে যে এই দুটি নতুন মামলা একই পরিবারে পাওয়া গেছে৷ প্রথম ঘটনাটি সামনে এসেছিল ৭ অগাস্ট। এখন তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে৷ পাশাপাশি সর্বক্ষণ তাঁদের মনিটরিং রাখা হচ্ছে৷
WHO বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ‘বুবোনিক প্লেগ হল প্লেগের একটা সাধারাই ফর্ম তবে এটি খুব বিপজ্জনক মহামারীতে পরিণত হতে পারে। সরকার এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করেছে৷
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে পজিটিভ পাওয়া লোকদের সংস্পর্শে আসা সমস্ত মানুষকে আইসোলেট করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে স্ত্রী সংক্রমিত হয়েছিলেন, পরে তাঁর স্বামী ও মেয়ের মধ্যেও লক্ষণগুলি আসে। তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁদের সংস্পর্শে আসা সমস্ত সংক্রমিত এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের কোনও লক্ষ্মণ সামনে আসেনি৷ প্রত্যেককেই মনিটরিংয়ে রাখা হচ্ছে এবং ওষুধ দেওয়া হচ্ছে৷
অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে, স্বাস্থ্য কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছিল বুবোনিক প্লেগের একটি ক্ষেত্রে, মাল্টিপল অর্গ্যান ফেলিওয়রের কারণে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। এই প্লেগ সংক্রমণ ইঁদুর দ্বারা ছড়ায়। এখানে, WHO এর মতে, ‘বুবোনিক প্লেগ, সংক্রামিত পতঙ্গের দংশনের ফলে হয়।
বুবোনিক প্লেগ এক প্রকারের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
বুবোনিক প্লেগ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হওয়া একটি রোগ। মধ্যযুগে এটি ব্ল্যাক ডেথ নামে পরিচিত ছিল। এর প্রধান কারণ প্লেগ নামক ব্যাকটেরিয়া। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হল এটি একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে হওয়া রোগ, এটি ভাইরাসবাহিত রোগ নয়৷
ফলে অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে এই চিকিৎসা সম্ভব। বুবোনিক প্লেগ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়। এটি ইয়ারসিনিয়া পেস্টিসের সংক্রমণের কারণে ঘটে। এই রোগটি সাধারণত মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে কোনও পতঙ্গের দংশন থেকে৷ পাশাপাশি সেই পতঙ্গটি কোনও সংক্রমিত ইঁদুরকে কামড়ায়৷ কখনও কখনও এই মাছিগুলিও মানুষকে কামড়ায়, যার কারণে এর সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।