
‘সন্ধ্যা বেলাতেও আমাদের দুটো পোগ্রামে যেতে হবে’
এদিন তিনি আরও বলেন, আগামীকাল স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন ফ্রিডম অ্যাট মিড নাইটও চালু করেছিলাম। সন্ধ্যা বেলাতেও আমাদের দুটো পোগ্রামে যেতে হবে। আগামীকাল রেড রোডে প্যারেড আছে সকাল ১০ টায়। সব পোগ্রামই আমরা করি। এবং মনে রাখবেন, আমরা সবসময় তাঁদের কথা মনে রাখব, যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন।’
‘আলিপুর জেলটাকে আমরা মিউজিয়ামে পরিণত করেছি’
এরপর তিনি আরও বলেন,’ আমি স্কুলগুলি ও কলেজগুলিকেও অনুরোধ করব, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও, যে আপনারা মাঝেমাঝে স্টুডেন্টদের নিয়ে একটু আলিপুর মিউজিয়ামটা ঘুরে যাবেন। আলিপুর জেলটাকে আমরা মিউজিয়ামে পরিণত করেছি। স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ উপলক্ষে, এবং জেলটাকে আমরা তুলে নিয়ে গিয়েছি বারুইপুরে। সুতরাং তোমরা সেখানে এখনও দেখতে পাবে, ক্ষুদিরামের ফাঁসির সেই জায়গাটা এখনও আছে। এরপরেই লেখা ও গান প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথের কথা বলেন। এবং এই বঙ্গভূমি যে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সংহতির জায়গা, তাও বলেন তিনি।
‘লুকিয়ে লুকিয়ে খাওয়া দাওয়া করা আমাদের অভ্যাস ছিল না’
পাশাপাশি এদিন নিজের লেখা কবিতাও পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রকাশিত কবিতা বিতান নিয়ে এদিন উল্লেখও করেন মুখ্যমন্ত্রী। আমার ঠিকানা নামকরণের একটি কবিতা এদিন পড়ে শোনানোর আগে তিনি বলেন, কেন লিখেছিলেন এই কবিতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি লিখেছিলাম, কারণ যখন সিঙ্গুর নিয়ে আমি আন্দোলন করি, তখন ২৬ দিন অনশনের মাথায়, অনেকেই আমাদের ছেলেমেয়েরা কান্নাকাটি করছিল। ডাক্তারাও বলছিল, ওকে আর এভাবে রেখো না। এবং আমি নিজেও মনে মনে ভাবছিলাম হয়তো, আর নাও বাঁচতে পারি। কিন্তু কৃষকদের দাবির আন্দোলনটা করে ছাড়ব। ওই লুকিয়ে লুকিয়ে খাওয়া দাওয়া করা আমাদের অভ্যাস ছিল না। এখন যেভাবে করা হয়। আমরণ অনশন করেছিলাম।’ যদিও এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এদিন নাম না করলেও বিরোধীদের নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
(Feed Source: abplive.com)
