কলকাতা: ব়্যাগিং বন্ধ করে পালন করা হয়নি ইউজিসি-এর নিয়ম, পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও পালন করা হয়নি, এ বার সেই সূত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে শো-কজ করল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন৷ এর আগে ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল ঘুরে দেখে কমিশন৷ তার পরেই এই নির্দেশ দেওয়া হল কমিশনের পক্ষ থেকে৷ পাশাপাশি, একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও রাজ্য সরকারের কাছে ঘটনার জবাবদিহি চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও৷
রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং আটকাতে ইউজিসি-এর নিয়ম মেনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়নি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব়্যাগিং-এ অভিযুক্ত পড়ুয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেও গড়িমসি করার অভিযোগ রয়েছে৷’
গত বুধবার রাতে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে৷ সেখানে এটু ব্লকের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্রের৷ তাকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ এর পরেই নানারকম অভিযোগ ওঠে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উদাসনীতাকে দায়ী করেন কেউ-কেউ৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে বহিরাগতরা ছিল বলেই মনে করা হয়৷ মনে করা হয়, অনেক প্রাক্তন ছাত্র ওই হস্টেলে থাকত৷ আর নিয়মিত প্রথমবর্ষের পড়ুয়াদের ব়্যাগিং করার নামে অত্যাচার করা হত৷ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, হতে পারে স্বপ্নদীপ কুণ্ডু সেই অত্যাচার সইতে না পেরেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গিয়েছিল৷