জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে ভয়াবহ দাবানলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৩! হাওয়াই-এর কর্তৃপক্ষ এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। হাওয়াইয়ের ইতিহাসে এর আগে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে এত বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বলা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ংকরতম দাবানল এটি।
অফিস-ভবন-বাড়ি মিলিয়ে প্রায় ২২০০টি নির্মাণ পুড়ে গিয়েছে। কী করে লাগল এই আগুন, কী করে তা এত ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ল, সবটা নিয়েই ক্ষোভ দানা বেঁধেছে সেদেশে। জানা গিয়েছে, এর আগে, ১৯৬০ সালে হাওয়াইয়ের বিগ আইল্যান্ডে আঘাত হানা ভয়াবহ এক সুনামিতে ৬১ জনের মৃত্যু ঘটেছিল।
কদিন আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, হাওয়াইয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী দুর্যোগে পরিণত হওয়া এই দাবানলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা ছিল, মৃতের সংখ্যা যা জানা গিয়েছে, দাবানল-এলাকায় লাশ শনাক্তকারী কুকুর নিয়ে অভিযান চালালে সেই সংখ্যা সম্ভবত আরও বাড়বে। কেননা, কুকুরের সহায়তায় হয়তো আরও মরদেহের খোঁজ মিলতে পারে। সেকথাই সত্য হল।
মাউই দ্বীপে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার আগে স্থানীয় লোকজনকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অন্য কোনো ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হলে মাউইতে জরুরি সতর্কসংকেত বাজানো হয়ে থাকে। তবে এবার দাবানলের সময়ে তা বাজাতে শোনা যায়নি। সতর্কসংকেতের প্রসঙ্গ টেনে হাওয়াইয়ের গভর্নর বলেন, কী ঘটেছে, তা জানতে মাউই কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
এই দাবানলে বহু মানুষ তো মারা গিয়েছেনই, হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, বহু মানুষ আহত, ক্ষতিগ্রস্ত। বলা হয়েছে, ‘লাহাইনাকে দেখে মনে হচ্ছে, এটি যেন বোমাবিধ্বস্ত এক শহর।’ দাবানলের ৮৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ছাড়া মাউই দ্বীপে আরও দুটি জায়গায় ছড়িয়ে পড়া দাবানলের একটির ৮০ ভাগ ও অন্যটির ৫০ ভাগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
৮ অগস্ট মাউই দ্বীপের পশ্চিম উপকূলীয় জঙ্গলে দাবানল শুরু হয়েছিল। এর কাছেই তৈরি হয়েছিল এক ঘূর্ণিঝড়। প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস বইছিল। এর ফলে দাবানলের তীব্রতা বেড়ে যায়। দ্রুত সেটি সমুদ্রতীরবর্তী শহর লাহাইনায় ছড়িয়ে পড়ে।
(Feed Source: zeenews.com)