১৮ ফুট ৮ ইঞ্চি! বিশ্বের দীর্ঘতম বিষাক্ত এই সাপকে মেরে ফেলা হয়! জানলে চমকে যাবেন

১৮ ফুট ৮ ইঞ্চি! বিশ্বের দীর্ঘতম বিষাক্ত এই সাপকে মেরে ফেলা হয়! জানলে চমকে যাবেন

হিরোশিমা, নাগাসাকি ধ্বংস, হলোকস্টে অগণিত হত্যা, ইউরোপ-সহ বিশ্ব জুড়ে ধ্বংসলীলা-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চিরস্থায়ী ক্ষত ছড়িয়ে আছে পৃথিবী জুড়ে৷ ইতিহাস পাল্টে দেওয়া এই ঘটনাপ্রবাহের মাঝে হারিয়ে গিয়েছে বিরল সরীসৃপ হত্যার ঘটনা৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণেই মেরে ফেলা হয়েছিল এখনও পর্যন্ত বিশ্বের দীর্ঘতম এবং বিষাক্ততম সাপকে৷

বিশ্বের ভয়ঙ্করতম বিষধর সাপের মধ্যে অন্যতম হ্যামাড্রিয়াড প্রজাতির কিং কোবরা বা শঙ্খচূড়৷ মূলত ভারত-সহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশেই তার বাস৷ গড়পড়তায় এই প্রজাতির সাপের দৈর্ঘ্য ৩.৭ মিটার থেকে ৪ মিটার৷ ওজন হতে পারে ৬.৮ কেজি পর্যন্ত৷ ১৯৩৭ সালের এপ্রিল মাসে মালয়েশিয়ার নেগেরি সেম্বিলান প্রদেশে ধরা হয় হ্যামাড্রিয়াড প্রজাতির একটি শঙ্খচূড় সাপকে৷ ৫.৭১ মিটার বা ১৮ ফুট ৮ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের সেই সরীসৃপকে নিয়ে যাওয়া হয় লন্ডন জু-তে৷ তার কয়েক বছর পরই শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ৷

লন্ডন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই সাপ সন্বন্ধে তথ্য শেয়ার করেছে৷ সেখানেই জানানো হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণেই মেরে ফেলা হয়েছিল বিশালাকায় এই শঙ্খচূড়কে৷ আশঙ্কা করা হয়েছিল লন্ডন শহরে অক্ষশক্তির বোমাবর্ষণে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে চিড়িয়াখানা৷ তাহলে বিষধর প্রাণীরা শহরে বেরিয়ে পড়লে প্রাণ সংশয় হতে পারত বাসিন্দাদের৷ সেই আশঙ্কায় চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷

১৯৩৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পর তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় লন্ডনের চিড়িয়াখান৷ সেখানকার অসংখ্য বন্য পশুর মধ্যে দু’টি জায়ান্ট পান্ডা, দু’টি ওরাংওটাং, চারটে শিম্পাঞ্জি, তিনটে এশীয় হাতি এবং একটি উটপাখিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হুইপস্নেড চিড়িয়াখানায়৷ যাতে যুদ্ধের আক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকতে পারে বন্যপ্রাণগুলি৷ কিন্তু কিছু বিষধর সরীসৃপকে লন্ডনবাসীর সুরক্ষার কারণে হত্যা করা হয়৷ তাদের মধ্যে ছিল মালয়েশিয়া থেকে ধরা হ্যামাড্রিয়াড প্রজাতির ওই শঙ্খচূড়কেও৷ এখনও পর্যন্ত এটাই বিশ্বের দীর্ঘতম বিষধর সাপ৷ তবে কিছু সরীসৃপকে প্রাণে বাঁচানোও হয়৷ সেগুলির মধ্যে ছিল কোমোডো ড্রাগন এবং চিনের কিছু সরীসৃপ৷

(Feed Source: news18.com)