Global Water Scarcity: বিশ্ব জুড়ে ৪০০ কোটিরও বেশি মানুষ চরম জলসংকটে পড়তে চলেছেন! ভারতেও কি খরা?

Global Water Scarcity: বিশ্ব জুড়ে ৪০০ কোটিরও বেশি মানুষ চরম জলসংকটে পড়তে চলেছেন! ভারতেও কি খরা?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভূপৃষ্ঠের নীচে থাকা জলস্তর ক্রমশ এতই কমছে যে, ইদানীং ৪০-৫০ ফুট গভীর করে খুঁড়েও মিলছে না বিন্দুমাত্র জল! কয়েকশো ফুট গভীরে খনন না করলে জল পাওয়া যাচ্ছে না! বহু দেশেই এই পরিস্থিতি। আর এটা এক চরম বিপদের দিকে ইঙ্গিত করছে। তা হল আসছে ঘোরতর জলসংকট। আসলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব সংকট বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে, সেগুলির অন্যতম হল সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য জলের সংকট। এই সংকট নিয়ে এবার নতুন তথ্য সামনে আনল ‘ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট’স অ্যাডিকোয়েট ওয়াটার রিস্ক অ্যাটলাস’। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যার এক-চতুথাংশ অর্থাৎ ২৫ শতাংশ মানুষ চরম জলসংকটের মধ্যে রয়েছেন। এবং এটা ক্রমশ বাড়বে।

গতকাল বুধবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬০ সালে জলের যে পরিমাণ চাহিদা ছিল, বর্তমানে তা দ্বিগুণ। জলবায়ু পরিবর্তনের গতি ত্বরান্বিত হওয়ায় জলসংকট দিন দিন বাড়ছে। জানানো হয়েছে, এখন যত সংখ্যক মানুষ জলসংকটে রয়েছেন, ২০৫০ সাল নাগাদ এর সঙ্গে আরও ১০০ কোটি মানুষ যুক্ত হবেন। বিশ্বে এখন ৮০০ কোটি মানুষ রয়েছেন। সেই হিসেবে বর্তমানে ২০০ কোটি মানুষ জলসংকটে রয়েছেন। ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াবে ৩০০ কোটি! রীতিমতো ভয় ধরিয়ে ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, বিশ্বের প্রায় ৪০০ কোটিরও বেশি মানুষ বছরে অন্তত এক মাস চরম জলসংকটের সম্মুখীন হন এখন। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্য়াটা ৬০ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে!

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে ২৫ শতাংশ মানুষ জলের চরম সংকটে রয়েছেন, তাঁদের বসবাস মাত্র ২৫টি দেশে। পৃথিবীর দুটি অঞ্চলের মানুষ বেশি জলসংকটে রয়েছেন– মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় থাকা পাঁচটি দেশ হল বাহরিন, সাইপ্রাস, কুয়েত, লেবানন, ওমান। স্বল্প সময়ের জন্য খরা দেখা দিলেই এই দেশগুলিতে ব্যবহার্য জলের পরিমাণ প্রায় শূন্যে নেমে আসে! এছাড়া আরও যে পাঁচটি দেশ জলসংকটের বিপদের সামনে রয়েছে সেগুলি হল সৌদি আরব, চিলি, স্যান ম্যারিনো, বেলজিয়াম ও গ্রিস।

কেন জলের পরিস্থিতি বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে?

দিন-দিন ব্যবহারযোগ্য জলের চাহিদা বাড়ছে। রয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর চাপ। তবে জল ব্যবহারের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি কোনও নীতি প্রণয়ন না করা এবং এই খাতে সবচেয়ে কম বিনিয়োগ করাটাও এই জলসংকেটর বড় কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

(Feed Source: zeenews.com)