যদিও জানা যাচ্ছে, ‘মৃত্যুর আগে পড়ুয়াকে কী পদ্ধতিতে হস্টেলের রুম বরাদ্দ করা হয়েছিল ? অ্যান্টি র্যাগিংয়ের নম্বর, থানার নম্বর পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছিল ? নতুন পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ? হস্টেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন ?’ এই ধরনের ১২ দফায় প্রশ্নের জবাব চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ইমেল ইউজিসি-র। নতুন ছাত্রদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে করা সার্ভে রিপোর্টও (Survey Report) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ছাত্রমৃত্যুর পর থেকে বারবার আতসকাচের নিচে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। তাদের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে যেন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই প্রশ্ন উঠেছে একাধিক বিষয়ে ভূমিকা না নেওয়া ঘিরে।
এদিকে, ‘র্যাগিং নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে চিঠি ইউজিসিকে পাঠিয়েছে তা সন্তোষজনক নয়। এ নিয়ে যাদবপুরকে চিঠিও পাঠিয়েছে ইউজিসি’, যে ১০টি পয়েন্টে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর দিয়েছে, তা যথেষ্ট নয়, মন্তব্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছিল, তাদের ভূমিকা নিয়ে ইউজিসি সন্তুষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি এর পরে প্রত্যেক পদক্ষেপে কীভাবে এগোচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, সেটা জানাতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পক্ষ থেকে। যদিও ছাত্রমৃত্যুর তদন্ত ঘিরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপে যে ইউজিসি বেশ অসন্তুষ্ট, সেটাই বুঝিয়ে কড়া ইমেল পাঠানো হয়েছে।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এই নিয়ে একে একে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রথমে ৩। আর এবার আরও ৬। ৬ জনেরই ২৮ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক। ধৃত ৯ জনের মধ্য়ে ৪ প্রাক্তনী ও ৫ জন পড়ুয়া। কিন্তু এদের সবাই থাকতেন হস্টেলে। ধৃত ৬ জনের মধ্যে যে ৩ জন প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
(Feed Source: abplive.com)