ব্রিটিশ আমল থেকে আজও একইরকম কর্মক্ষম, ১১১ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে একটি ঘড়ি!

ব্রিটিশ আমল থেকে আজও একইরকম কর্মক্ষম, ১১১ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে একটি ঘড়ি!

মহারাষ্ট্র: বয়স ১১১, জীর্ণতার সামান্য চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখনও সমান তালে চলছে তার শরীরের সমস্ত প্রত্যঙ্গ। সময় মিলিয়ে চলছে তার কাজ।

একটি ঘড়ি, সেই ব্রিটিশ আমলের। আজও সঠিক সময় দিচ্ছে শহরের বাসিন্দাদের। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে বহাল তবিয়ত রয়েছে সে।

এদেশে প্রায় ২০০ বছর ধরে বসবাস করেছে ব্রিটিশরা। এই সময়কালে অনেক স্থাপত্য নিদর্শন তৈরি করেছে তারা। ভারতের নানা প্রাচীন শহরে সেই সব দিনের ইতিহাস বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে স্থাপত্যগুলি। নাগপুর শহরেও রয়েছে একটি ব্রিটিশ কাঠামো। অতিপ্রাচীন পুলিশ সদর দফতর ভবনটি সেই ব্রিটিশ আমলেই তৈরি হয়েছিল। সেটা ১৯১২ সালের কথা।

এই একই সময়ে, এই ভবনের উপরে একটি বড় ঘড়িও বসানো হয়েছিল। ২০২৩ সালেও সেই ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে। সব থেকে আশ্চর্যের কথা হল বয়স ১১১ হলেও এখনও পর্যন্ত একবারও মেরামতির প্রয়োজন হয়নি এই ঘড়ির। কোনদিন দেখা যায়নি সময়ে গরমিল ঘটাচ্ছে সে।

জানা গিয়েছে, ঘড়িটি সপ্তাহে দুবার কিড করা দরকার হয়। তার বাইরে আর কোনও রকম রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই চলতে পারে সে।

রিজার্ভ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর বিনোদ তিওয়ারি বলেন, ‘আমার জন্ম পুলিশ ব্যারাকে। এই সদর দফতরের প্রাঙ্গনে আমার শৈশব কেটেছে। জন্ম থেকেই থেকেই এই ঘড়িটি দেখছি। আজ অবধি, আমি লক্ষ্য করিনি যে এই কোনদিন ঘড়িটি বন্ধ হয়ে আছে বা কোনদিন ভুল সময় দিচ্ছে। কখনও মেরামত হতেও দেখিনি।’

ভবন নির্মাণের সময়ই এই ঘড়ি বসানো হয়েছিল। ভবনের গায়ে যেমন নির্মাণের সময়কাল উৎকীর্ণ রয়েছে, তেমনই রয়েছে এই ঘড়ির গায়েও।

সারা জীবনে এই ঘড়িতে শুধু সামান্য তেল দিতে হয়েছে। এর বাইরে কোনও রকম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনই পড়েনি। তাছাড়া এই প্রাচীন ঘড়িটির আরও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন, এটি প্রতি আধ ঘন্টা অন্তর সময় জানান দেয়। এটি বারোটা বাজলে বারো বার শব্দ তোলে।

(Feed Source: news18.com)