আমাকে দল ছাড়তে হয়েছে- মোহনবাগানের থেকে আলাদা হওয়াটা মানতে পারেননি প্রীতম

আমাকে দল ছাড়তে হয়েছে- মোহনবাগানের থেকে আলাদা হওয়াটা মানতে পারেননি প্রীতম

প্রায় এক দশক মোহনবাগানে কাটিয়ে অবশেষে সম্পর্ক ছিন্ন হল সবুজ-মেরুনের সঙ্গে। নতুন মরশুমে কেরালা ব্লাস্টার্সে যোগ দিয়েছেন তিনি। আসলে প্রীতম কোটাল প্রথম থেকেই মোহনবাগানে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে রাখেনি। সোয়াপ ডিলে কেরালার সাহাল আব্দুল সামাদের সঙ্গে প্রীতমকে অদলবদল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটা প্রীতম মন থেকে মানতে না পারলেও, হজম করতে বাধ্য হয়েছেন। সেটা তাঁর কথাবার্তাতেই পরিষ্কার। তবে নতুন জায়গায় গিয়ে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নতুন ভাবে শুরু করতে চাইছেন।

দল বদল নিয়ে প্রীতম বলেছেন, ‘শেষ মরশুম আমাদের কাছে কঠিন ছিল। অধিনায়ক হিসেবে এটা আমার প্রথম মরশুম ছিল এবং মোহনবাগান জার্সির হয়ে এতটা করাটা খুব গর্বের। তবে ট্রান্সফার মার্কেটে কিছু পরিবর্তনের জন্য আমাকে দল ছাড়তে হয়েছে। আমি তাই নতুন জিনিস দেখতে চাই, নতুন পরীক্ষা করতে চাই। ক্লাব আমাকে অনেক সমর্থন করেছে।’

২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা সবুজ মেরুনেই ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে মোহনবাগানের হয়ে আই লিগ খেতাবও জেতেন। এই মরশুমেই আই লিগের সেরা ডিফেন্ডারও নির্বাচিত হন তিনি। মোহনবাগান থেকেই লোনে পরের মরশুমে এটিকে-তে যোগ দিয়ে আইএসএল জেতেন প্রীতম। ২০১৮ সালে পাকাপাকি তিনি যোগ দেন এটিকেতে। এই এটিকেই পরবর্তীতে মোহনবাগানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এটিকে মোহনবাগান তৈরি হয়। এই ক্লাবের হয়ে ২০২০ ও ২০২৩ সালে দু’বার আইএসএল জেতেন প্রীতম। শতাধিক ম্যাচও খেলেছেন তিনি। তবে এবার সেই সুদীর্ঘ সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটল।

এদিকে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের টিম ইন্ডিয়াকে নিয়ে প্রীতম বলেছেন, ‘এখন প্লেয়ারদের মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। এখন ট্রেনিংয়ের মান অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন প্লেয়াররা জানেন তাদের কী করবে হবে। কার বিরুদ্ধে কীভাবে খেলতে হবে সেটা প্লেয়াররা জানেন। আর এটা আইএসএলের জন্যই সম্ভব হয়েছে। এখানে যে বিদেশিরাই খেলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ভয়ডরহীন ফুটবল খেলি। এই পরিবর্তন আমাদের মধ্যে এসেছে। এখন আমাদের প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত।’ সামনে কিংস কাপ, মারডেকা কাপ ও ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবে জাতীয় দল। তবে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান অথবা সিরিয়া যেই থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আর গুটিয়ে না থেকে, আগ্রাসী ফুটবল খেলে জিততে মরিয়া হয়ে থাকে মেনস ইন ব্লু।

(Feed Source: hindustantimes.com)