ছবি তোলা নেশাই হোক বা পেশা, এর সঙ্গে শৈল্পিক ভাবনা যেমন জড়িত, তেমনই প্রযুক্তিগত জ্ঞানও প্রয়োজন। কারণ সময়ের সঙ্গে ছবি তোলা ধ্যান-ধারণাও পাল্টেছে। স্থিরচিত্র, আলোকচিত্রের মতো ভারী শব্দ যেমন জুড়ে গিয়েছে পাশে, তেমন ছবি হয়েছে চলমানও, যাকে আমরা বলি ভিডিওগ্রাফি। কিন্তু এই বিবর্তন একদিনে হয়নি। প্রথম যে দিন, যে দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয়, ইতিহাসের সূচনা ঘটে সেই দিনই।
প্রাচীন কালে গ্রিক এবং চিনারা পিনহোলের মাধ্যমনে স্ক্রিনে কোনও দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার কৌশল শিখতে পেরেছিলেন। ষোড়শ শতকে ইতালির এক বিজ্ঞানী পিনহোল থেকে ক্যামেরা অবস্কুরা তৈরি করেন। তিনিই প্রথম লেন্স ব্যবহার করেন।
এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী ১৮২৬ সালে ফ্রান্সে ক্যামেরা অবস্কিউরার মাধ্যমে প্রথম বার ছবি তোলা হয়। কিন্তু স্থিরচিত্র তুলতে পারেননি তিনিও। ফরাসি বিজ্ঞানী জোসেফ নিশেফোর নিয়েপশ। সিঁড়ির ঘরের জানলা থেকে বাইরের ছবি তোলেন তিনি। নাম দেন, ‘ভিউ ফ্রন দ্য উইন্ডো অ্যাট লা গ্রাস’।সেই ছবি হাতে পেতে বিটুমিনের আস্তরণ দেওয়া প্লেট ব্যবহার করেন জোসেফ। এখনও পর্যন্ত সেটিই বিশ্বের প্রথম তোলা ছবি হিসেবে গন্য হয়।
ক্যামেরা এবং ছবির গুরুত্ব বুঝতে সময় লাগেনি। বিশেষ করে সাংবাদিকতায় ছবিই একসময় হয়ে ওঠে অনুভূতি প্রকাশের ভাষা।১৮৫৫ সালে ইংল্যান্ড, রাশিয়া এবং তুরস্কের মধ্যে যুদ্ধ চলাকালীন রজার ফেন্চন লন্ডন থেকে ক্যামেরা নিয়ে খবর করতে যান। চার মাসে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ৩৬০টি ছবি পাঠান তিনি। সেই প্রথম ছবি হয়ে ধরা দেয় যুদ্ধ।
বর্তমান দিনে ছবি মানব সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত প্রযুক্ত হাতে এসেছে। ছবি এবং বাস্তবের ফারাক বোঝাই হয়ে উঠেছে দুষ্কর। মুখে বলে পরিস্থিতি বোঝানো না গেলেও, ছবিই না বলা কথা বুঝিয়ে দিতে পারে। ছবি তুলতে ভালবাসেন যাঁরা, ছবি তোলাকে শিল্প বলে মনে করেন যাঁরা, তাঁদের শৈল্পিক ভাবনার উদযাপনেউই প্রতি বছর ১৯ অগাস্ট বিশ্ব ফোটোগ্রাফি দিবস পালিত হয়।
(Feed Source: abplive.com)