লোকসভা ভোটের আগে ‘রাজ’ আবেগে শান ত্রিপুরায়, মাণিক্য বাহাদুরকে সম্মান মানিকের

লোকসভা ভোটের আগে ‘রাজ’ আবেগে শান ত্রিপুরায়, মাণিক্য বাহাদুরকে সম্মান মানিকের

ত্রিপুরা: রাজ আমলের ইতিহাস মানুষ যাতে জানতে না পারে তার জন্য সচেষ্ট ছিল আগের সরকার। এবার বর্তমান প্রজন্মের কাছে ত্রিপুরার মহারাজাদের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে চলেছে বর্তমান সরকার। ত্রিপুরা প্রশাসনের দাবি, ২০১৮ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরকে তাঁর যোগ্য সম্মান দেওয়া শুরু হয়েছে।

আগরতলার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। মহারাজার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা অর্পণ করে তিনি বলেন, ‘‘এই সরকার মানুষকে সম্মান দিতে জানে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দেশের সেবায় নিবেদিত মানুষের সম্মানে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর অনুপ্রেরণায় কাজ করছে রাজ্য সরকারও। ’’

তাঁর কথায়, ‘‘আগে জনজাতিদের শুধু ভোট বাক্সের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এই সরকার তাঁদের সেই অবস্থা থেকে তুলে এনে উন্নয়নের মূল স্রোতে নিয়ে এসেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি আদর্শ নিয়ে চলতে বিশ্বাস করে। সমাজের একেবারে অন্তিম ব্যক্তি, বিশেষ করে জনজাতি অংশের লোকজনদের যদি উন্নয়ন না হয় তবে রাজ্যের উন্নয়ন কোনওদিনই সম্ভব নয়। তাই জনজাতিদের সবদিকে উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে বর্তমান সরকার।’’

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনজাতিদের বিকাশের লক্ষ্যে খুবই আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগেই একজন জনজাতি মহিলাকে দেশের রাষ্ট্রপতি করা হয়েছে। জনজাতিদের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। এডিসি এলাকার উন্নয়নে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সহযোগী দফতরের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এবারের বাজেটেও অনেক যথেষ্ট বরাদ্দ করা হয়েছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘ত্রিপুরার মহারাজারাও রাজ্যের উন্নয়নে কাজ করে গিয়েছেন। যে কারণে বর্তমান সরকার রাজ পরিবারকে সম্মান জানাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে আগরতলার একমাত্র বিমানবন্দরকে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্যের নামে উৎসর্গ করে তাঁকে প্রকৃত সম্মান জানিয়েছেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী কিছুদিনের এই এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে সরাসরি আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হবে। বিশ্ব বরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও রাজন্য আমলে ত্রিপুরায় বহুবার এসেছেন। বিভিন্নভাবে তাঁকে সহায়তা করেছে রাজ পরিবার।’’

(Feed Source: news18.com)